
কৃতঘ্ন
অমিত সানা
সময় তুমি কেন এতো দুরন্ত?
চখের পলকে আলোর ঝলকে চল,
হও না কেন পরিশ্রান্ত।
অবহেলার পাত্র হয়েছ,
হয়ে যাও তুমি শান্ত।।
ঝর্ণা তুমি কেন চল অবিরাম?
স্রোতস্বিনীর প্রবাহ নিয়েছ,
নাও না কেন বিশ্রাম?
বাঁধা দিয়ে রেখেছি তোমায়,
করছি অপমান।।
আলো তুমি কেন এতো গতিময়?
দিয়েছ পাড়ি,রেখেছ ছাড়ি গ্রহ,নক্ষত্র, বলয়।।
পবন তুমি কেন বহমান?
সবাইকে রেখেছ বাচিঁ,
পেয়েছ কি প্রাপ্য সম্মান?
বন তুমি কেন এতো উদার?
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দিয়েছ
যত্ন কি পেয়েছ তোমার?
শিক্ষক তুমি কেন এতো মহান?
তোমার জ্ঞানে আলোকিত হয়ে
তোমাকেই করে অপমান।।
মেয়ে তুমি কেন দানশীল,
সমাজ দিয়েছ, জাতি দিয়েছ
তোমাকে করছে তারাই অশ্লীল।।
বাবা তুমি কেন নাও যত্ন?
চাপ নিয়েছ, খাদ্য দিয়েছ
পেয়েছ পরিশেষে অযত্ন।
মা তুমি কেন মায়াময়?
রক্ত দিয়ে মানুষ করেছ,
তোমার ছেলে তোমাকে রাখে রাস্তায়।।