
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের একটি গ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে গেল ২৩ আগস্ট মেহের উদ্দিন (৭৫) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, তারা এখন পর্যন্ত ৫ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত করেছে এবং একজন রোগী ভর্তি করিয়েছেন।
উপজেলাটির ভারত সীমান্তবর্তী আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রাম, যেখানে অন্তত ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। যত দিন যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা; যার অধিকাংশই নারী। এতে ভেঙে পড়েছে ওই গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু পজিটিভ হলে রোগীরা রাজশাহী, পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, আমার জানামতে, অন্তত ২০ জনের বেশি ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছেন। তারা কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবার কেউ কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে ভর্তি হচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ধর্মদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তালেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমান্তঘেঁষা প্রত্যন্ত এই গ্রামের মানুষ খুব একটা এ বিষয়ে সচেতন না। যার কারণে আক্রান্তটা বেশি হচ্ছে। প্রয়োজন সচেতনতা তৈরি করা। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে কথা হয় স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার আব্দুস সালামের সঙ্গে, তিনি জানিয়েছেন এ বছর এই এলাকায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ বিষয়ে তিনি তার ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিনের সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ করা হচ্ছে তবে তিনি ডেঙ্গুর কোনো তথ্য দিতে পারেননি। সর্বশেষ তিনি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এখন পর্যন্ত ৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও একজনকে ভর্তি করানো হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে তার মাঠকর্মীরা কাজ করছেন যার পূর্ণাঙ্গ তথ্য রোববারে দিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।