
কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনকে কেদ্র করে ২মে পর্যন্ত ৩ পদে ১৭ জন প্রার্থী মনোয়নন পত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা করেছিলেন পঁাচ জন। গত ৫মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচাই বাছাই পর্বে বর্তমান উপজেলা চেয়াম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোরের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর তৃনমূলে বইছে আনন্দের জোয়ার।
পঁাচ বছর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে তিনি গরিব দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষের আস্থা কুড়িয়েছেন। এবারো তিনি নির্বাচনে আশায় তাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। গরিব দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষরা মনে করছেন, তিনি যে ভাবে সাধারন মানুষের পাশে দঁাড়িয়েছেন তঁার মাধ্যমেই এ সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষের দুখের অবসান ঘটবে। তারা আরো বলেন, আমরা দেখেছি একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে কিশোর ভাই যেভাবে কৃষকের পাশে থেকে তাদের সাথে মিশে ধান কঁাটা,ধানের বোজা মাথায় করে কৃষকের বাড়িতে আনা,ধান মারাই করে রুদে শুকানো, এই সকল কাজ আমাদের হৃদয় কেড়েছে।
কোভিড- ১৯ কালীন সময়ে অসংখ্য করোনা ভাইরাস আক্রান্ত পরিবারের পাশে থেকে তাদের সেবা দিয়ে অসাধারন মানবিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। যখন করোনায় মৃত ব্যক্তির কাছে তাদের স্বজনরাও দাফন কাফন করতে এগিয়ে আসতো না সেই সময়ে আহসানুল আলম সরকার কিশোর মৃত্যু ভয়কে ওপেক্ষা করে সেই লাশের দাফন কাফন ও জানাযা করে লাশ কবরস্থ্য করেন।
কয়েক জন অটো সিএনজি ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানাযায়, মুরাদনগর ও কোম্পানিগঞ্জের যানজট জনদুভোর্গে পরিনত হয়েছিল। আহসানুল আলম সরকার কিশোরের হস্থক্ষেপে এখন যানজট মুক্ত গাড়ি চালাতে পারছি। আগে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতে হতো এখন আর সেই চাঁদা দিতে হয় না। চাঁদা মওকুফ করায় আমরা পরিবার নিয়ে ডাল,ভাত খেয়ে স্বাচ্ছন্ধে জীবন যাপন করতে পারছি।
আওয়ামীলীগ নেতা মাসুকুল ইসলাম মাসুক বলেন, রাজনৈতিক জীবনে আহসানুল আলম কিশোরের মত এমন কমর্ীবান্ধব নেতা আমি খুব কম দেখেছি। একজন নেতা বা কমর্ী অসুস্থ্য হলে খবর পাওয়া মাত্রই তাকে দেখতে হাসপাতাল কিংবা বাড়িতে ছুটে জান কিশোর। কোন কমর্ী মারা গেলে তার লাশ কঁাধে করে কবরাস্থানে নিয়ে নিজ হাতে কবরস্থ করে। তার এমন অসংখ্য মানবিক দিক আছে যা আমার খুব পছন্দ।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রাথর্ী আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, আমি আমার বাবা জাহাঙ্গীর আলম সরকারের অনুপেরনায় রাজনীতিতে আসি এবং ১৯২০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। সেই থেকে গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল মানুষ গুলোর সাথে যত মিশি ততই ভালো লাগে। তাদের সাখে যখন মিশি মনে হয় তারা আমার আত্মার আত্মীয়। মুরাদনগরের কৃষক শ্রমীক দিনমুজুর খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে খুব আপন করে নিয়েছে। তাই তাদের পাশে থেকে কাজ ও সেবা করতে পারলে মনে তৃপ্তি আসে। আমি যত দিন বেঁচে থাকবো আমার প্রিয় মুরাদনগর বাসির পাশে থেকে তাদের কল্যানে কাজ করে যাবো।