
লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতাও সঠিকভাবে প্রচারহীনতায় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ার কর্মসুচি অনেকটা ভেস্তে গেছে। দুপুরের পরপরেই টিকাদেয়া বন্ধ করে চলে যায় দায়ীত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।এছাড়া অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের ভিটামিন- এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারেনি সঠিক তথ্য না জানার কারনে।
শনিবার ১ জুন দেশব্যাপী একযোগে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সেই অনুযায়ী লালমনিরহাটে ৪৫টি ইউনিয়নে স্থায়ী ও অস্থায়ী ১ হাজার ১২০টি কেন্দ্রে খাওয়ানো হয়।তবে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ঘুড়ে দেখা যায় টিকাদান কেন্দ্র খালি ও কিছু কিছু কেন্দ্র বন্ধ করে সবাই চলে গেছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর চিনিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দুপুর তিনটায় গিয়ে দেখা যা দরজায় তালা ঝুলানো রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিনা বেগম জানান, আমার সন্তানকে টিকা দিতে এসেছি। এসে দেখি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ। হাড়ীভাঙার বাসিন্দা ফরহাদ খন্দকার জানান তিনি ক্যাপসুল খাওয়ার খবরেই জানেন না। তার ৬ বছর ও ৪ বছরের দুজন মেয়ে রয়েছে। তাদের কাউকে খাওয়াতে পারেননি তথ্য না জানার কারনে।
এ বিষয়ে চিনিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপিকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, বিকাল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা কিন্তু কেনো তারা আগেই বন্ধ করেছে সেটা বুঝতে পারিনি।