
বাংলাদেশের নবগঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও সমর্থন জানিয়েছে গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরাম। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক বিবৃতিতে এ সমর্থনের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে, ১৩৫টি দেশ ও অঞ্চলের আমাদের ১৯৯টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ছাত্র সংগঠনের সাথে একত্রিত হয়ে, আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীম সরকারের প্রধান হিসেবে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্যান্য উপদেষ্টা গণের নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের আন্দোলনে সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ গণতন্ত্রের প্রচারে ছাত্রদের সক্রিয়তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাহসিকতা ও সংকল্প বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন অর্জনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে।
আশা করি নতুন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করার সাথে সাথে আমরা গণতান্ত্রিক নীতি এবং অহিংসার অবিরত আনুগত্যের গুরুত্ব নিশ্চিত হবে। ন্যায়সঙ্গত সমাজের দিকে রূপান্তর নিশ্চিত করার জন্য টেকসই প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সংহতি প্রয়োজন। আমরা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং এই সম্প্রদায়গুলিকে রক্ষা করার জন্য আপনার সরকারকে অনুরোধ করছি। যে কোনো সহিংসতা থেকে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে স্বাগত জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা নতুন সরকারের ইতিবাচক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করার জন্য এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সংহতি প্রসারিত করার জন্য উন্মুখ। গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরাম বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বিষয়ে গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরামের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য শেখ রিফাদ মাহমুদ জানান, আমরা মনে করি ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, শিক্ষিত, যুব শক্তিতে উজ্জিবিত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আমরা প্রত্যাশা করি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ হবে এবং প্রকৃত পক্ষেই একটি সুরক্ষিত বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। পূর্বের সরকারের দূর্নীতির কারণে হওয়া ভয়াবহ অর্থনৈতিক ধস কাটিয়ে দ্রুতই বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক এটাই আমাদের চাওয়া।
বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই নৃশংসতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরাম এবং আন্তর্জাতিক সংহতি আদায়েও কাজ করেছেন তারা বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ, ফারুক–ই–আজম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হোসেন, ফরিদা আখতার, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।