![](https://bdchitro.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের তিন দিনের মাথায় পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু অন্তর্বর্তী সরকারের। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার পূর্ণ করল ছয় মাস। প্রত্যাশার বিপরীতে প্রাপ্তি কতটা, তা নিয়ে জনমনে আছে নানা হিসাব-নিকাশ।
গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট বিমানবন্দরে নেমেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই প্রথম কাজ হবে বলে জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। মনোবল হারানো পুলিশ আর ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলার বিপরীতে আজকের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাঠগড়ায় তুলে বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। চলতি বছরের মধ্যেই বিচার শেষ করতে চায় সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে সংস্কার নিয়ে। সরকারের ৬ মাস পূর্তির দিনই প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। যা পাঠানো হবে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের কাছে। যার ভিত্তিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক।
তবে নির্বাচন কবে হবে কিংবা সংস্কারের পরিধি কেমন হবে, এ নিয়ে প্রায়ই সামনে আসছে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়েন।
যদিও প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, অল্প সংস্কার চাইলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আর বড় পরিসরে সংস্কার করতে হলে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও ছয় মাস।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রায়দিনই নানা দাবি-দাওয়াতে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন পক্ষ। কখনও যমুনার সামনে, কখনও সচিবালয় এলাকায়, আবার কোখনও রাজধানীতে ব্যস্ততম কোনো সড়কে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের ছয় মাসে নানা মহল থেকে কথা উঠেছে কমবেশি। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নতুন বিনিয়োগ টানা আর অর্থনীতির গতি ফেরানোও এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ।