‘অন্যদের যুদ্ধের ময়দান হতে চাই না’ বলে ইরানকে সরাসরি জানিয়ে দিলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন।
রবিবার ইরানের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেন, দেশটির জনগণের ঐক্যই যেকোনও হুমকি বা আক্রমণ মোকাবিলার সবচেয়ে ভাল উপায়।
প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে বৈঠকে ইরানি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, যাদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, লেবাননের সার্বভৌমত্বের প্রতি ইরানের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
তারা জানান, ইরান লেবাননের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেশটির পুনর্নির্মাণে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এদিন, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং হাসেম সাফিয়েদ্দীনের জানাজায় যোগ দিতে ইরান, ইরাক, ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশ থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। এই অনুষ্ঠানটি ছিল এ সময়কালের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত, যেখানে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছিল।
এদিকে, জানাজার দিনেও ইসরায়েলি বিমান বাহিনী লেবাননের দক্ষিণ এবং বেকা উপত্যকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
হিজবুল্লাহর প্রধান জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম বলেন, আমরা আমাদের ভূমিতে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলব এবং কোনও ধরনের শত্রুতার মুখোমুখি হলে তার সমুচিত জবাব দেব।
তিনি লেবানন সরকারের কাছে দৃঢ় এবং সুবিচারের ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।