
রাজধানীতে বছরজুড়েই চলছে অপরিকল্পিত খোড়াখুড়ি। বিদ্যুৎবিভাগ,ওয়াসা,তিতাস সিটি কর্পোরেশন,টি এন্ড টি,ডেসকোসহ প্রতিদিনই কোন না কোন প্রতিষ্ঠান নির্বিঘ্নে চালাচ্ছেন খোড়াখুড়ির এই মহাযজ্ঞ। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার ফলে একই রাস্তা বারবার খননে যত্রতত্র মাটি ও ময়লা স্তুপাকারে মাসের পর মাস ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে সরকারের নির্দেশিত নীতিমালার তোয়াক্কা করছে না সেবা সংস্থাগুলো। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি ও যানবাহন চলাচলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। “রাজধানীর সড়ক খনন নীতিমালা ২০১৯” – অনুযায়ী, দিনের বেলায় খননকাজ বন্ধ রাখাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে জরিমানার বিধান রয়েছে। রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া বিবেচনায়, বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে ব্যার্থ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে মূল ক্ষতিপূরণসহ অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ফি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি বিধানমতে,দেশে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ মাস রাস্তা খোড়াখুড়িতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাটি নরম থাকার অজুহাতে এই সময়টাতেই খোড়াখুড়ির ধুম পড়ে যায়। আজ ওয়াসা খুড়ছে তো অন্যদিন তিতাস। রাস্তা মেরামতের ঠিক এক সপ্তাহ পরেই আবার সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ নিষ্কাশন উপলক্ষ্যে চলে খোড়াখুড়ি। আর এভাবেই নগরজুড়ে চলছে খননচক্র। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতায় নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। সেবা কার্যক্রমের স্বার্থে রাস্তা খোড়াখুড়ি অপরিহার্য হয়ে দাড়ায় । তবে বিভিন্ন সংস্থা যেমন ওয়াসা,তিতাস,বিদ্যুৎ ও সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি সমন্বয় করে নিলে জনভোগান্তি নিরসনে সহায়ক হবে। সরকারি নিয়মানুযায়ী, রাস্তা খননের আবর্জনা ও মাটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারনে ব্যার্থ হলে জামানতের ফি দ্বিগুণ করার বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনের প্রয়োগ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ‘সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থা’ এসবে কর্ণপাত ই করছেন না। এহেন পরিস্থিতি তে সড়ক আইন ২০১৯ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কাজ করাতে কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ চিত্র/আনিস