অর্থাভাবে শিশু গালিবের চিকিৎসা অনিশ্চিত প্রায়। দিনমুজর বাবা’র অস্বচ্ছলতার মাঝে ব্যয়বহুল চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী খারহর গ্রামের মো. জামানের ছেলে শিশুটির আব্দুল আল গালিব (৩)। সে হৃদযন্ত্রের জটিল রোগে আক্রান্ত ও হার্টে জন্মগত ছিদ্র রয়েছে। দ্রুত অপারেশন পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতায় দিশেহারা দিনমুজর বাবা-মা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে শিশু আলিফ ও গালিব জমজ দুই ভাই একসাথেই আক্রান্ত হয় নিউমোনিয়ায়। শ্বাসকষ্ট ও বুকের নিচে ধেবে যাওয়ায় তখন হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার জানাই তাদের মধ্যে গালিব জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত। সে থেকেই বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে তার চিকিৎসা করছেন এই দরিদ্র পরিবার। এ অপারেশনে ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন, নিরুপায় বাবা-মা ঘুরছেন মানুষের ধারে ধারে।
স্থানীয় ছফির উদ্দিন বলেন, আমরা কিছু টাকা তুলে শিশুটির চিকিৎসার জন্য দিয়েছি। কিন্ত এই অল্প টাকায় তার ঔষধদের খরচই হচ্ছে না। সরকার যেনো এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়।
গালিবের বাবা জামান বলেন, চোখের সামনে পুতের এই কষ্ট দেখে আর সহ্য করতে পারছি না। নিয়মিত ওষুধ না খাওয়ালেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে শরীর নীল হয়ে যায়। শত অভাবেও কোনদিন কারও কাছে হাত পাতিনি, এহন পাততে অইল। আমার এই মাছুম বাচ্চাকে বাঁচাতে কেউ যদি এগিয়ে আসতো তার জন্য আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে দোয়া করতাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাফাজ্জল হোসেন বলেন, বাবা দিনমজুরি কাজ করে সংসার চালান। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো। সরকার যদি এই অসহায় শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় তবে তার জীবনটা বেঁচে যেতো।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল হাই বলেন, চার-পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে তাদের পক্ষে অপারেশন করা সম্ভব নয়। বিত্তবানরা শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে শিশুটি বেঁচে যাবে।
কার্ডিওলজিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নূরুন্নাহার ফাতেমা ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করানোর পরামর্শ দিয়ে জানান, শিশুটির হার্টে জন্মগত ছিদ্র রয়েছে দ্রুত। সময় যাচ্ছে এবং হার্টের ছিদ্র আকারে বড় হচ্ছে। তাই দ্রুত অপারেশন না করালে ধীরে ধীরে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করবে।