অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রতিপক্ষের পেসাররা তাদের চেয়েও বেশি দাপট দেখাবে, ব্যাপারটা অনেকটা অকল্পনীয়ই। ৩ ম্যাচের পুরো সিরিজজুড়ে এই কাজটাই করেছেন কদিন আগেও ‘ঝিমিয়ে পড়া’ পাকিস্তানের পেসাররা। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে গতির আগুনে পুড়িয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে তারা।
রোববার (১০ নভেম্বর) তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৮ উইকেটে জিতেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ৩১.৫ ওভারের মধ্যে ১৪০ রানে গুড়িয়ে দিয়ে সাইম আয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ২৬.৫ ওভারের মধ্যেই জয় পেয়েছে তারা। কুপার কনোলি বাদে অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৯টি উইকেট ভাগাভাগি করেছেন পাকিস্তানের চার পেসার (শাহিন শাহ ৩, নাসিম শাহ ৩, হারিস রউফ ২ ও মোহাম্মদ হাসনাইন ১)। স্পিনাররা বলই করেননি। কলোনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পর ৯ উইকেটে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় রিজওয়ান বাহিনী।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যে কোনো ফরম্যাটে ২২ বছর পর পাকিস্তানের এটা প্রথম সিরিজ জয়, সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। সবশেষটি ২০০২ সালে, সেটাও ওয়ানডে সিরিজ এবং ব্যবধান ছিল ২-১। ২২ বছর আগের ঘটনা মনে করিয়ে দেয়ার নায়ক হারিস রউফ। সিরিজজুড়ে ১০ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আফ্রিদি ৮ ও নাসিম শাহ ৫ উইকেট নিয়েছেন। এই তিনজনই তালিকার সবার উপরে। স্টার্ক নিয়েছেন ৩টি।
সিরিজে পাকিস্তানের ব্যাটাররাও তুলনামূলকভাবে দাপট দেখিয়েছেন। রান সংগ্রাহকের তালিকায় চোখ বুলালেই ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়। সাইম (১২৫), শফিক (১১৩) ও বাবর (৮০) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টিভ স্মিথ করেছেন সর্বোচ্চ ৭৯ রান। রিজওয়ান করেছেন ৭৪ রান।
পার্থে অস্ট্রেলিয়ার টেলএন্ডার শন অ্যাবোটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান (৩০) করার দিনে ৩ উইকেট নিতে আফ্রিদি ৩২, নাসিম ৫৪ রান খরচ করেন। রউফ ২ উইকেটের বিনিময়ে দেন ২৪ রান।
এরপর অল্প রান তাড়া করতে নেমে সাইম ও শফিক ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। ল্যান্স মরিসের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে শফিক আউট হন ৫৩ বলে ৩৭ রান করে। ওই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন ৪২ রান করা সাইম। এরপর বাবর ২৮ ও রিজওয়ান ৩০ রান করে সহজ জয় তুলে নেন।
আপনার মতামত লিখুন :