” টেকসই দুগ্ধ শিল্প , সুস্থ মানুষ , সবুজ পৃথিবী ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে ১ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৩ ।
বিশ্ব দুধ দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য হিসাবে দুধের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি দিন। ডেইরি সেক্টরের সাথে যুক্ত কর্মকান্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার একটি সুযোগ প্রদানের উদ্দেশ্য এ দিনটি ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর ১লা জুন পালন করা হয় ।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অন্যতম হল দুধ। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নিয়মিত দুধের ব্যবহার হয় ।
দুধের বিভিন্ন উৎস আছে। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি যেই দুধ পান করি তা হলো গরুর দুধ। গরুর দুধ যেমন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তেমনই এটি সহজলভ্য এবং দামেও সস্তা। বলতে গেলে গরুর দুধ খাদ্য উৎপাদন এর মধ্যে একটি আশীর্বাদ স্বরুপ।
খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানই এক সাথে পাওয়া যায় এই গরুর দুধে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। যা হাড়ের জন্য ও শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য খুবই প্রয়োজন। হাড়ের গঠন মজবুত করতে গরুর দুধের ভূমিকা অনবদ্য।
গরুর দুধের কম্পজিশনে পানি ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে লো-ফ্যাট দুধ খেলে শরীরের কোলেস্টেরল লেভেল অনেকটাই কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গরুর দুধ ভিটামিন এ, ডি এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা আমাদের হৃদযন্ত্রকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আমরা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নিয়মিত দুগ্ধ পান করি, সুস্থ থাকি এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করি।
লিখেছেনঃ
মেহেদী হাসান বাবু
শিক্ষার্থীঃ ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।