চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কার্গো পরিবহনে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণকে আরও জোরদার করছে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (KLIA) এবং চীনের ঝেংঝো জিনঝেং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CGO)-এর সরাসরি সংযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এ সহযোগিতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঝেংঝো-কুয়ালালামপুর “এয়ার সিল্ক রোড” ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশনে জানানো হয়, এই উদ্যোগ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় KLIA এবং CGO-কে আঞ্চলিক লজিস্টিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে। মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী অ্যান্থনি লোক সিউ ফুক বলেন, এই অংশীদারিত্ব ই-কমার্স, ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং তাজা পণ্যের মতো উচ্চমূল্যের খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
মন্ত্রী আরও জানান, KLIA-কে কেন্দ্রীয় কার্গো হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অবকাঠামো, ডিজিটাল লজিস্টিকস এবং কাস্টমস ব্যবস্থায় বিনিয়োগ জোরদার করা হবে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মূল বাজারে দ্রুত প্রবেশাধিকার সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ঝেং জুয়েফাং বলেন, হেনান প্রদেশ ও মালয়েশিয়া ঝেংঝো-মালয়েশিয়া রুটে আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইট বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এটি “এয়ার সিল্ক রোড” পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ফোরামে চীন ও মালয়েশিয়ার শিল্পখাতের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে বিমান পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষি রপ্তানি উন্নয়ন, কোল্ড চেইন লজিস্টিকস এবং বাণিজ্য সহজীকরণ।