নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভায় এক নিরীহ মহিলার ওয়ারেশিয়ান ভূমিতে ১৪৪ ধারা চলা অবস্থায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে মামলার বাদী জাহানারা বেগম জানু আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলার টিপে ধরে রড দিয়ে মারধর করে এবং টেনে হিচড়ে জামা কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করে তাকে রক্ষা করতে এসে তাসলিমা নামক এক বিধবা নারীর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
বিবাদী রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে বাদী জাহানারা বাধা প্রদান করলে আবদুল হক গং বাদী এবং পরিবারকে দা, লোহার রড, লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং চোখের ভিতর আজ্ঞুল ঠুকিয়ে গলায় হাত রেখে হত্যার চেষ্টা চালায়। তাদের স্ব-চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলেও তাদের উপর আক্রমণ করে। এতে দুই জন মারাত্মক আহত হয়। এরপর আহতরা বেগমগঞ্জ ৫০ সয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল আটটায় পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে রৌশন আলী ব্যাপারী বাড়ির বাদিনীর অভিযুক্ত জায়গায়। এই ঘটনায় বাদিনী জাহানারা বেগম জানু আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং- সিআর ২০৩/২৪ সরে জমিনে গিয়ে ও মামলা সূত্রে জানা যায় । বাড়ির চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়ে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৭১নং নাজিরপুর মৌজার ওয়ারিশান ডিএস ৬১৪ নং খতিয়ান এ ৯৬ নং দাগে ৪৭ শতক ২৩৭ নং দাগে ভিটি ৩২ শতকের অন্দরে ৫ শতাংশ, বাড়ি ৬৪ শতকের অন্দরে ১৫ শতক, ও বিভিন্ন দাগের ভূমির ওয়ারিশ সুত্রে মালিক সুফিয়া বেগম, হোরন মিয়া, জাহানারা বেগম ওরপে জানু আখতার গং পৈতৃক ভূমি থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলমান মামলার বাদিনি সুফিয়া বেগম গংদের মামলা প্রত্যাহারে হত্যার হুমকি প্রদান করা সহ অন্যান্য অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাজিরপুর মোজাহার মাটি ভরাট পূর্বক ত্রিশ বছর অধিক কাল ভোগ করে আসছেন। যাহা পাশে থাকা আবদুল মন্নানের নিকট গাড়ি পার্কিং ও যাতায়াত পথ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভাড়া করে প্রদান করেন। এলাকায় সাধারণ মানুষ ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় প্রায় পয়ত্রিশ বছর যাতায়াত পথ হিসেবে ব্যবহার করছে।
বেগমগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নোয়াখালী দেওয়ানী বন্টক ৩৩৩/২০২৩ইং মামলা চলমান রয়েছে। অপর দিকে ২৯১/২০১৪ইং দেওয়ানি মামলার বিবাদী আবদুর রহিম হক সাব আদালতে সঠিক কাগজের দলিলের মূলকপি দাখিল করতে পারেনি, মামলার বাদিনী হতদরিদ্র ও অর্থবলে অসহায় হওয়ায় রহস্য জনক কারণে মামলা খারিজ হয়ে যায়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন এমপির কাছে তারা গেলে উভয়পক্ষকে ঘর নির্মাণ না করার মৌখিক পরামর্শ দেন । বাদীর অভিযোগের আলোকে বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে পুলিশ দাওয়া করে দখল কারী দের তাড়িয়ে দিয়ে তাদের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসে। বিবাদী আবদুল হক একজন রোলার ড্রাইবার হয়েও নিজেকে সরকারি বড় কর্মকতা দাবি করে সাংবাদিকদের মামলার হুমকি প্রদান করে আসছে ।
উল্লেখ্য উক্ত ভূমিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে আদালতের নির্দেশে বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার আসিফ আল জিনাদ তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর দখল সত্যতা প্রমান পান মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বর্তমানে বিবাদী বাহুবল ও রাজনীতি বলিয়ান হওয়ায় বিবাদী অত্যান্ত নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বলে সাংবাদিকদের জানায়।