‘আমরা শান্তি চাই, সহিংসতা আর নিতে পারছি না’

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

‘আমরা শান্তি চাই, সহিংসতা আর নিতে পারছি না; সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি’—এভাবেই কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে কথাগুলো বলেন গুইমারা বাজারের কংলাপ্রু মারমা। রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের আগুনে তাঁর তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘জীবিকা নির্বাহের আর কোনো উপায় নেই। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার। এখনো কোনো সরকারি সহায়তা পাইনি।’

একই কথা বলেন হলুদ ব্যবসায়ী ঝন্টু পাল ও পরেশ পাল। আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল—কাঁপা গলায় বললেন পরেশ পাল।

রাজুসহ স্থানীয় কয়েকজন বলেন, উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। জীবনযাত্রা একদম থমকে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যে কেউ কিনবে, দোকানপাট প্রায় সব বন্ধ।

এর আগে সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার ১৪৪ ধারা চলাকালে উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় স্থানীয় দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও সেনাসদস্য-সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন।

খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ–হামলা-অগ্নিসংযোগ, ১১ সেনাসদস্যসহ আহত অর্ধশতখাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ–হামলা-অগ্নিসংযোগ, ১১ সেনাসদস্যসহ আহত অর্ধশত
আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। গুইমারার রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমুখে ও গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি ও পলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র‍্যাব-৭-এর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, গতকালের ঘটনায় গুইমারায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Share This Article