
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “বিএনপি আমাদের দোস্তা, বন্ধু। একসাথে বহুদিন রাজনীতি করেছি। এখন আলাদা পথে হলেও বন্ধুত্ব বজায় রাখা উচিত। আমাদের ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা বন্ধুত্বের পরিচয় নয়।”
সোমবার ( ১৬ অক্টোবর) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার এক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, “আমরা একসাথে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন করেছি। তাহলে কেন এখন ফ্যাসিবাদের মতো কথা বলছে বিএনপি নেতারা? রাজনীতিতে শালীনতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। আমরা চাই দেশের সংস্কার হোক এবং গণভোটের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম হোক। তাতে লুটপাট ও দুর্নীতি বন্ধ হবে।”
নোয়াখালীর এক বিএনপি নেতার মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপি যদি ক্ষমতায় এসে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলে, তবে তাদের কণ্ঠে আওয়ামী লীগের সুর শোনা যায়। এই ধরনের ফ্যাসিবাদী মনোভাব দেশ ও রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।” তালা-কলারোয়া এলাকার জনতার উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, “আমাদের নির্বাচন পর্যন্ত ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। কোনো উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না।”
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, “আমরা এমন দেশ গড়তে চাই যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকবে না, থাকবে না দুর্নীতি বা লুটপাট। জামায়াত ইসলামের নেতা-কর্মীরা অতীতে সৎভাবে কাজ করেছেন—তাদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। দেশের মানুষ এবার জামায়াতকে সুযোগ দিক।”
তিনি আরও দাবি করেন, “জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকবে। এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও চাইবে জামায়াত ক্ষমতায় আসুক।”
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও তালা-কলারোয়া আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, খুলনা অঞ্চলের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা নায়েবে আমীর ডা. শেখ মাহমুদুল হক, ও জেলা সেক্রেটারি আজিজুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা আমীর মাওলানা মো. মফিদুল্লাহ।