আমিরাতের ‘ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে যা বলছে দূতাবাস

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

বাংলাদেশের ওপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষ‌য়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হ‌য়ে‌ছে, তার সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ তথ্য জানান।

ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইউএইভিসাঅনলাইন ডট কম দা‌বি ক‌রে‌ছে, বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমিরাতের সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কো‌নও তথ্য প্রকাশ না করা হ‌লেও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে শ‌নিবার আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশ হয়েছে।

এ বিষ‌য়ে জান‌তে চাইলে রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ব‌লেন, আমরা অফিশিয়া‌লি দূতাবাস থে‌কে বা আমাদের কনস্যুলেট থে‌কে আমিরাত সরকারের এই ধরনের কো‌নও বার্তা পাইনি। যে ও‌য়েবসাইটটির বরা‌তে বাংলাদেশের বি‌ভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ হ‌য়ে‌ছে, সেই ওয়েবসাইট সম্প‌র্কে আমরা এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি; এটি এক‌টি ভিসা সেন্টার প্রসেসিং ওয়েবসাইট। এটির অথেন্টিসিটি নেই।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যা বুঝতে পার‌ছি, এটা একটা ভিসা সেন্টারের ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ পোস্ট হ‌তে পা‌রে।

ইউএইভিসাঅনলাইন ডট কম দা‌বি ক‌রে‌ছে, বাংলাদেশসহ নয়টি দেশের মধ্যে আমিরাতের ভিসা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে—আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, উগান্ডা, ক্যামেরুন, সুদান ও লেবানন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আমিরাত সরকার না দিলেও ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয়। 

ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুবাইয়ে দুদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। 

Share This Article