মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের সংগ্রাম ও বিজয় স্মরণে র্যালি করেছেন ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ আয়োজন করে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-শাহবাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘আওয়ামী আমলে যে বিজয় দিবস আসতো, তখন আমরা আফসোস করে বলতাম সত্যিকারের বিজয় আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। তখন মনে হতো, শহীদদের রক্তের দাম আমরা এখনও দিতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা সত্যিকারের বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। ৭১ এখন আর কোনও দলের না, ৭১ এখন সবার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল। পাকিস্তানি গণহত্যার বিরুদ্ধে এ দেশের সব মানুষ এক হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যখন যুদ্ধ করেছিল, তখন ভারতে পালিয়ে গিয়েও অনেকে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্রেডিট নিয়েছে। সবশেষে এ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এখনও পুরোপুরিভাবে অর্জিত হয়নি। এই লড়াই চলমান। ২৪ এর আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় আমরা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাবো।’
সকাল ১০টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ধীরে ধীরে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। দুপুর ১২টায় র্যালি শুরু হয়। এ সময় ছাত্র-জনতা ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ; দিল্লি না ঢাকা; ঢাকা ঢাকা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
র্যালিতে ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ এর সব শহীদ, নেতৃত্ব ও চেতনাকে স্মরণ করা হয়। র্যালির প্রথম সারিতে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে আন্দোলনে আহতরা অবস্থান নেন। দ্বিতীয় সারিতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীসহ ১৯৪৭ ও ১৯৭১ এর নেতৃত্বকে স্মরণ করে তাদের ছবি হাতে নিয়ে অবস্থান করেন ছাত্র-জনতা।