আসন্ন ৫ জুন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। শেষ মুহুর্তে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার, অলিগলিসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। প্রত্যেক প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা ও প্রতীক সম্বলিত হ্যান্ডবিল বিতরণে ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নিজ প্রার্থীর গুণকীর্তনে চা স্টল, ভ্যানস্ট্যান্ড ও জনবহুল স্থান মুখরিত হয়ে উঠছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করছেন প্রার্থী ও কর্মীরা। পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা কৌশল ও শ্রুতি মধুর বক্তব্য। সব মিলিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারণায় যেন কোনো প্রার্থীর দম ফেলার ফুসরত নেই।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা দিন রাত এক করে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের কাছ থেকে সারা পেয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সব প্রার্থী।
অন্যদিকে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী আলফাডাঙ্গার উন্নয়ন করতে পারবে, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারবে তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলাজুড়ে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এমন সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো কোনো বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।’
প্রসঙ্গত, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪০টি ভোট কেন্দ্রে ৯৯ হাজার ৫৬৫ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৪২০ জন ও মহিলা ৪৯ হাজার ১৪৫ জন।