ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউজিল্যান্ড
ওয়েলিংটনে টানটান উত্তেজনার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ইংলিশদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করে ৪০.২ ওভারে ২২২ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৪.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৬ রান করে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয়ের পথে ছিল নিউজিল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রান তুলে দেন ডেভন কনওয়ে আর রাচিন রাবিন্দ্রা। কনওয়ে ৩৪ আর রাবিন্দ্রা ৪৬ রান করেন।
এরপর ড্যারিল মিচেল ৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে রাখেন। কিন্তু ১৮৮ রানে ৫ উইকেট থেকে হুট করে ১৯৬ রানে ৮ উইকেটে পরিণত হয় কিউইরা।
ড্যারিল মিচেলকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান স্যাম কারান। নিউজিল্যান্ডের তখন দরকার ২৭ রান, হাতে ২ উইকেট। নেই কোনো স্বীকৃত ব্যাটার। শঙ্কা তৈরি হয়েছিল হারের।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্লেয়ার টিকনার ও জ্যাক ফকস ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে নবম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে দলকে জয় এনে দেন। টিকনার ১৮ আর ফকস ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টিকনার বল হাতেও দারুণ ছিলেন। তিনি পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেট তুলে নেন। নতুন বলে জ্যাকব ডাফি ও ফকস ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে একদম ধসিয়ে দেন, মাত্র ১০.১ ওভারের মধ্যেই শীর্ষ পাঁচ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন।
৪৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ইংলিশরা। পরের পাঁচ ব্যাটার দলের হাল ধরেন। জস বাটলার ৩৮, স্যাম কারান ১৭, ব্রাইডন কার্সে ৩৬ আর জোফরা আর্চার করেন ১৬ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জেমি ওভারটন, যিনি ৮ নম্বরে নেমে ৬২ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ে রাখেন। ইংল্যান্ডকে ২২২ রান পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে ওভারটনই শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন।