যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ সম্পদের ৫০ শতাংশ মালিকানা চায় আমেরিকা। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে এমন একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য যদি কোনও চুক্তি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র খনির নিরাপত্তায় ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে পারে।
এই খনিজ সম্পদের বিনিময়ে সরাসরি অর্থ পরিশোধের পরিবর্তে, এই মালিকানা চুক্তিটি ইউক্রেনে যুদ্ধকালীন সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া দেশটির প্রতিদান হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রস্তাব পেশ করেন। বৈঠকের পর বেসেন্ট বলেন, এই খসড়াটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে, তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
জেলেনস্কি বেসেন্টের দেওয়া চুক্তিপত্রটি তখনই সই করেননি, তিনি বলেছেন, এটি পর্যালোচনার জন্য সময় প্রয়োজন। তিনি জানান, মিউনিখে পৌঁছানোর আগেই তিনি এবং তার দল ওই নথির সমস্ত বিবরণ পর্যালোচনা করবেন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, তার আইনজীবীরা কিয়েভে বেসেন্ট কর্তৃক উপস্থাপিত নথির বিষয়ে পরামর্শ দেবেন এবং কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন। তিনি এই প্রস্তাবটিকে নিরাপত্তা চুক্তি হিসেবে নয় বরং একটি স্মারকলিপি হিসেবে উল্লেখ করেন।
এর আগে ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইউক্রেনের ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দুর্লভ খনিজ সম্পদ চান এবং ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, কিয়েভ এতে রাজি হয়েছে।