ইনজেকশন দিয়ে আমাকে সেন্সলেস করে রাখা হয়: সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আন্দোলন স্থগিতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে তাকে সেন্সলেস করে রাখা হয়। এই চার/পাঁচদিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে ততবার তাকে ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়।

আজ বুধবার (২৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে আসিফ নিজেই এই অভিযোগ করেন। ওই পোস্টের আসিফ লিখেন, ‘আমি আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

গত শুক্রবার ১৯ জুলাই রাত ১১ টায় আমাকে হাতিরঝিলের, মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। এই চার/পাঁচদিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে ততবার ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। আজ ২৪ জুলাই, বুধবার সকাল ১১ টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায়।’

তিনি আরও লিখেন, ‘এখন আমি পরিবারের সাথে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি৷ এই কয়দিনে যা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করছি। কিছুটা সুস্থ হলেই সমন্বয়কদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।’

এদিকে, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আসিফের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই আসিফ মাহমুদকে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। তবে, গত চারদিন ধরে তার সঙ্গে অন্যদের কোনো যোগাযোগ ছিল না।

সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও মাহিন সরকার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, তাদের চারজন সমন্বয়ক নিখোঁজ আছেন। তারা হলেন- আসিফ মাহমুদ, আব্দুল কাদের, রশিদুল ইসলাম রিফাত ও আবু বাকের মজুমদার।

Share This Article