ইবি ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর সময় বৃদ্ধি

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগনেত্রী অন্তরাসহ তিন অভিযুক্তকে শোকজ নোটিসের জবাবদানের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ৪ঠা মার্চ অভিযুক্ত ৫ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বিষয়ে কেনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে ১৫ মার্চের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযুক্ত তাবাসসুম ইসলাম ও মুয়াবিয়া জাহান শোকজের জবাব দিলেও ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, হালিমা আক্তার উর্মী ও ইসরাত জাহান মীম নির্দিষ্ট সময়ে জবাব দেননি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শোকজের জবাব দেয়ার সময় বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে তাদেরকে লিখিতভাবে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে শোকজের জবাবদানের সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা হবে না বলেও জানা গেছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের বিষয় জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বলেন, যদি কোনো আইন-কানুন বা ফাক ফোকড় থাকে আমরা টোটালি বিচার বিশ্লেষণ করে দেখবো। এছাড়া কোর্টের অবজারভেশনসহ বিভিন্ন বিষয় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। আইনগত ভাবে যেটা প্রাপ্য তারা সেটাই পাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ তার সহযোগীরা। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় ১লা মার্চ ওই পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বহিষ্কার ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

Share This Article