ইলিশ ধরতে বিপুল পরিমাণে মৎস সম্পদ নষ্ট হয়: মৎস উপদেষ্টা

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

সমুদ্রে ইলিশের মতো নির্দিষ্ট কিছু মাছ ধরার কাজে বিপুল পরিমাণে মৎস সম্পদ নষ্ট হয়। নৌযানগুলো যে পরিমাণে মাছ ধরে তার দুই-তৃতীয়াংশই সমুদ্রে ফেলে দেয় মাছ শিকারিরা। যা মৎস সম্পদ ও  জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ক্ষতি। খাদ্য বিনষ্ট অপচয় রোধ সংক্রান্ত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। 

উপদেষ্টা বলেন, সাধারণত মাছ ধরার নৌযানগুলো ইলিশের মতো নির্দিষ্ট কিছু মাছ ধরার লক্ষ্য নিয়ে সমুদ্রে যায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা মাছের অবস্থান নির্ণয় করে, লক্ষ্যমাত্রার মাছ ধরে এবং বাকিগুলো ফেলে দেয়। এভাবে প্রচুর সামুদ্রিক মাছ নষ্ট হচ্ছে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজিত ‘খাদ্যের অপচয় রোধের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এই অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি করলেও এখনও অপুষ্টির সমস্যা রয়ে গেছে। খাদ্য বণ্টনে বৈষম্য আছে। তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অপচয় রোধ করা অত্যন্ত জরুরি।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মূল্যায়ন অনুযায়ী দেশে এখনো ১ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের একাংশে খাদ্যের অতিভোজন হচ্ছে। দেশে খাদ্য উৎপাদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অর্থাৎ কৃষকের খামার থেকে শুরু করে ভোক্তার টেবিলে পৌঁছানো পর্যন্ত ধাপগুলোতে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টন খাদ্য নষ্ট হয়।

Share This Article