ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলায় লেবাননে নিহত ৭, গাজায় ৩৪

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ইসরায়েলের বেপরোয়া বোমা হামলায় লেবানন এবং গাজায় আরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে চার মাস আগে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে আবারও লেবাননে হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে।

অপরদিকে শনিবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনই শিশু।

এদিকে ইয়েমেনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে, হোদেইদা বিমানবন্দরে তিনটি এবং লোহিত সাগরের আল সালিফ বন্দরে হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের সীমান্তে নিক্ষেপ করা তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে।

ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক খবরে জানিয়েছে, লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা কমপক্ষে পাঁচটি রকেট শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং দুটি লেবাননের ভূখণ্ডের ভেতরে পড়েছে বলে জানানো হয়।

এছাড়া হুথি বিদ্রোহীরাও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে তারা ইয়েমেন থেকে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সে সময় থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাজায় হামলা চালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ এবং হুথি বিদ্রোহীরা। ফিলিস্তিনিদের ওপর যতদিন পর্যন্ত আগ্রাসন চলবে ততদিন এই হামলা চলবে বলে জানানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৪৯ হাজার ৭৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। তাদের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাজায় ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

Share This Article