ইসলামাবাদে ধরপাকড়ের মুখে পিছু হটল পিটিআই

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ব্যাপক ধরপাকড় ও সংঘাতের পর ইসলামাবাদে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের নির্মম নীতি এবং রাজধানীকে কসাইখানা বানানোর পরিকল্পনার জেরে এই সাময়িক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা দেন। ডি-চক এলাকায় পৌঁছানোর পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও রেঞ্জার্সের সংঘাত শুরু হয়। এতে ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পিটিআই কর্মীরাও রয়েছেন।

ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ ও রেঞ্জার্স। পিটিআই নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়, যার ফলে আন্দোলনের শীর্ষ দুই নেতা আলী আমিন গান্দাপোর এবং বুশরা বিবি ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পুলিশ ৫০০-র বেশি নেতাকর্মীকে আটক করে, যার মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও।

বিক্ষোভ ঠেকাতে আগেই রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করে সরকার। পিটিআই কর্মীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। তবে সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে— এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার রেড জোনসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিতের পর পিটিআই জানায়, সাময়িক এই সিদ্ধান্ত হলেও তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়নি। দলটি তাদের দাবির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এই সংঘাত ও বিক্ষোভ পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Share This Article

এ সম্পর্কিত আরও খবর