অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন পক্ষ থেকে যে সমালোচনা হচ্ছে তাকে ইতিবাচক বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আগের সরকারের আমলগুলোতে দেখতাম, সরকারি দলের লোকেরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকজনকে হুমকি দিতো। আর এখন উপদেষ্টা পরিষদে থাকা লোকজনকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন পক্ষ থেকে ইচ্ছেমতো যা মুখে আসে সমালোচনা করা হচ্ছে। এটা ভালো গণতান্ত্রিক উত্তরণ বলা যায়। তবে যারা রাজনৈতিক দলে আছেন, তাদেরও বলে রাখি, একই ধরণের কথাবার্তা কেউ আপনাদের উদ্দেশ্যে বললে, সেটা শোনার মানসিকতাও আপনাদের থাকতে হবে।’
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসরা উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান আইন ও বিচার উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের অন্যতম প্রস্তাব ছিল। প্রধান বিচারপতির সংস্কার ভাবনার মধ্যেও এটা আছে। আমরা এ লক্ষ্যে অনেকদূর কাজ করেছি। কিছু বিষয়ে এখনো কিছু মতভিন্নতা আছে। সেটা নিয়ে আরেকটু আলাপের প্রয়োজন রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশটা উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদ যদি মনে করে তাহলে এটা পাশ করা হবে।’ আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ধারণা এই অন্তর্র্বতী সরকারের আমলেই সুপ্রিম কোর্ট পৃথক সেক্রেটারিয়েট করতে পারবো।’
জুলাই সনদে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে কি-না- এমন প্রশ্নের আইন ও বিচার উপদেষ্টা বলেন, ‘উনারা কী করবেন আমি জানি না। তবে আমার কাছে মনে হয়, সমস্ত রাজনৈতিক দল যে নিষ্ঠার সাথে এই পুরো আলোচনা প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেছেন, তাতে আমি বিশ্বাস করি, উনারা এই নিষ্ঠার একটা ধারাবাহিকতা হিসেবে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবেন। কারণ কনটেন্ট বা চার্টারের বিষয়বস্তু নিয়ে জুলাই চার্টার হচ্ছে। এখানে মূল মতভেদ হচ্ছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে, সেটাতো আর স্বাক্ষর করা হচ্ছে না। আশা করি, সবাই এতে স্বাক্ষর করবেন।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আমরা জাতীয় নির্বাচন করার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর। এটা নিয়ে কোনরকম দ্বিতীয় চিন্তা, আমরা কথা প্রসঙ্গেও আলোচনা করি না।’