এই ব্যস্ততম শহরে রাত পোহাতে জেগে ওঠে বিভিন্ন পেশার মানুষ গুলো। সকালের ঝিমঝিম মিষ্টি ঠান্ডা হাওয়া ও নানান পেশাদার মানুষের কোমল মুখ ও সকালবেলা খাবার হোটেল বা রেস্তোরাঁগুলোতে উপড়ে পড়া ভিড় যেনো মনে হয় এক যুদ্ধক্ষেত্র। বাসার নিচে হোটেল থেকে নাস্তা শেরে রওনা কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য করে উঠলাম বলাকা পরিবহন লিঃ। তখন ঘড়িতে সকাল ৮.০০ সময়, বাস থেমে থেমে অবশেষে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় অন্য দিকে সকাল ৮.৩০ মিনিটে মহুয়া কম্পিউটার ( কমলাপুর-মোহনগঞ্জ) ঘামি একটি বেসরকারি পরিচালিত কোম্পানি মেসার্স টি এম ট্রেনিং এর ট্রেনটিতে উঠলাম রাজেন্দ্রপুর স্টেশনের উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
এদিকে আমার কাঁধের ব্যাগে প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল পেপার ও বিশুদ্ধ পানি মাম-পট সঙ্গে নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। কিছুদূর ট্রেন যাওয়ার পর টিটি টিকেট চেকিং এর জন্য এলো, এরপর টিটির কাছ থেকে একটি ২৫ টাকা মূল্যয়ের টিকিট সংগ্রহ করলাম। একটা মজার বিষয় হচ্ছে ভিতরে টিকিট সংগ্রহ করেন যারা তাদের কোনো আসন সংখ্যা দেওয়া হয় না। আমি যখন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে উঠলাম তখন একটি আসনে বসে যাচ্ছিলাম। স্টেশন থেকে যদি কোন যাত্রী টিকিট কেটে উঠেপড়ে তাহলে আমার ঐ আসন নম্বরে সিট হলে আমার উঠে তাকে আসনটি দিতে হবে।
ভাগ্যিস জয়দেবপুর পর্যন্ত কোন যাত্রী ঐ আসনের পেলাম না। আমিও অনেক আনন্দ ও আরামের সাথে ভ্রমণের সুযোগ পেলাম।
সকালবেলা ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করতে মন ও চারদিকের পরিবেশ টা উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে।
ট্রেন পৌঁছে গেছে রাজেন্দ্রপুর তখন ঘড়িতে বাজে ৯.৪৫ মিনিট। ট্রেন থেকে নামার পর একটা গাভীর দুধের চা খেয়ে নিলাম তারপর অটোরিকশা নিয়ে এসিআই কোম্পানির উদ্দেশ্য রওনা হলাম। কোম্পানির গেইটে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ হলো বিতরে প্রবেশ করলাম তাদের ইঞ্জিয়ারিং ইউনিট অফিসে গেলাম একটা কপি দিলেন। এর ফাঁকে আমার অফিসিয়াল কাজ গুলো শেষ হলো। ফ্যাক্টরি থেকে মেইন রোডে উঠে একটি অটোরিকশায় চড়ে রাজেন্দ্রপুর আসলাম এর পরে বাসে চড়ে ঢাকা চলে আসলাম।
বাংলাদেশ চিত্র/এআর