
২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৪০ ম্যাচ খেলেছেন নাথান ব্র্যাকেন। নিয়েছেন ২০৫ উইকেট। তবে ওয়ানডেতেই সবচেয়ে কার্যকর বোলার প্রমাণিত হয়েছেন। গতির চেয়ে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং সাজিয়ে বল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। বল সুইং করাতে পারতেন দুই দিকেই।
২০০৮ সালের জুলাইয়ে ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে সরিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসেন ব্র্যাকেন। সে বছর জায়গা করে নেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলেও। একই বছর বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছিল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু বেরসিক চোট তাঁকে খেলতে দেননি। একই কারণে খেলতে পারেননি ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।
চোট থেকে সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ব্র্যাকেনের ওপর থেকে ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। একসময় তাঁকে উপেক্ষিত রেখে তরুণদের সুযোগ করে দেয়। এভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যান একসময়ের বিশ্বসেরা বোলার ব্র্যাকেন।
তবে এর আগেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ (২০০৩ ও ২০০৭) ও একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০০৬) জিতে ফেলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাকগ্রা, ব্রেট লিদের সঙ্গে পেস আক্রমণে জুটি বেঁধেছিলেন। সেই জুটি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০০৬ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
ক্রিকেট থেকে দূরে সরে গেলেও সেসব স্মৃতি এখনো নিশ্চয় মনে পড়ে ব্র্যাকেনের!