
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার দুই নেতার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত মো. সাদিকুল ইসলাম রাব্বি নামের এক ব্যক্তি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) এ ঘটনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার বরাবর ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে রাব্বি উল্লেখ করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় তার শরীরে ৩৬৫টি গুলি লাগে। অর্থাভাবে এখনো ২৮৮টি গুলি তিনি শরীরে বহন করছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করার পরও ওই মামলার আসামিদের নাম বাদ দিতে তাকে চাপ দিচ্ছেন এনসিপির মানিকগঞ্জ জেলা প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার ও যুগ্ম সমন্বয়কারী এএইচএম মাহফুজ।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মামলার ৫৯ নম্বর আসামি মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মতিনের নাম বাদ না দেওয়ায় তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তার চিকিৎসার কথা বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও তা তার কাছে পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।
মো. সাদিকুল ইসলাম (রাব্বি) বলেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির দুই নেতা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী এএইচএম মাহফুজ বলেন, রাব্বি নামের ওই ব্যক্তিকে আমি চিনি না। আমি বা জাহিদ তালুকদার কেউই কোনো মামলা প্রত্যাহারের চাপ দেইনি, কিংবা কারও কাছ থেকে টাকা নেইনি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
একইভাবে জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার বলেন, আমি রাব্বিকে চিনি না এবং তার মামলার বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। এই বিষয়ে এনসিপির কোনো নেতাকর্মীও জড়িত নয়।
এ বিষয়ে এনসিপির ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার জাগো নিউজকে জানান, যেহেতু অভিযোগ আসছে, এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা এটার অনুসন্ধান করবো। অনুসন্ধানে যদি সত্যি তারা দোষী হয় পার্টি ব্যবস্থা নিবে।