
গরমে এসি ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। বাইরে থেকে ফিরে একটু স্বস্তি পেতে চাই এসির বাতাস। বাড়িতে, অফিসে—সব জায়গায় এসি ব্যবহার করছেন। তবে এসি ব্যবহারে সতর্ক থাকা ভীষণ জরুরি। সতর্ক না থাকলে, যে কোনো মুহূর্তে এসিতে আগুন লেগে যাওয়া কিংবা বিস্ফোরণ ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।
এসির দুর্ঘটনা এড়াতে যা করবেন—
প্রথমেই এসি ইনস্টলেশন সঠিকভাবে করুন। একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান ছাড়া এসি ইনস্টলেশন করবেন না। সেই সঙ্গে মানসম্মত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করুন। ক্যাপাসিটার, তার, কম্প্রেসরসহ প্রতিটি যন্ত্রাংশ ব্র্যান্ডেড ও টেস্টেড কিনুন।
এরপর সঠিক ভোল্টেজ ব্যবহার করুন। ভোল্টেজ ওঠানামা ঠেকাতে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার বা সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে ফিল্টার, কয়েল ও পাইপ পরিষ্কার রাখুন।
গ্যাস লিকেজ চেক করুন। যদি অস্বাভাবিক গন্ধ বা শিসের মতো শব্দ শুনতে পান, তবে সঙ্গে সঙ্গে এসি বন্ধ করে দিন। দেরি না করে বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ানকে ডাকুন। এ ছাড়া অতিরিক্ত তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন। গরমে অতিরিক্ত চাপ পড়লে কম্প্রেসর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আর গ্রাউন্ডিং সঠিকভাবে হয়েছে কিনা, নিশ্চিত করুন। এ ছাড়া এসি টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চালালে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। এবং নিয়মিত সার্ভিসিং করুন। প্রতি ৬ মাস বা অন্তত বছরে একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে এসি চেক করান।
এসি সবসময় ধুলা-ময়লামুক্ত রাখুন। কখনো ধুলা-ময়লা জমতে দেবেন না। ব্লক হলে কম্প্রেসরে চাপ পড়ে এবং ওভারহিট হয়ে আগুন ধরতে পারে।
এসি কখনো নিজে নিজে মেরামতের চেষ্টা করবেন না। এসির ভেতরে গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সার্কিট থাকে, যা বিপজ্জনক। অজ্ঞতাবশত মেরামত করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এসি বেশি লোড দেওয়া যাবে না। একই প্লাগে একসাথে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, এসি চালাবেন না। আলাদা এমসিবি (মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার) ব্যবহার করুন।
এ ছাড়া গ্যাস লিক হলে এসি চালাবেন না। গ্যাস লিক থাকাবস্থায় এসি চালালে আগুন কিংবা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আর লোকাল কিংবা নকল যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবেন না। সস্তা বা ভেজাল পার্টস ব্যবহার করলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।