
সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনে খরচ করার জন্য দেওয়া এক কর্মী ১০ লাখ টাকার চেক ফিরিয়ে দিয়েছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে তাহিরপুরের একতা বাজারে ওই কর্মীর দেওয়া সেই ১০ লাখ টাকার চেক ফিরিয়ে দেন তিনি।
তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধর্মপাশা উপজেলা নিয়ে সুনামগঞ্জ ১ আসন গঠিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। বিশেষ করে সুনামগঞ্জ ১ আসনে ইতিমধ্যে ৪ জন প্রার্থী পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে উপস্থিত হন সুনামগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য চলাকালীন তার দলের এক কর্মী নূর কাশেম মঞ্চে উঠে কামরুল নির্বাচনী খরচ বহনের জন্য জনসম্মুখে ১০ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন। তবে সেই চেক নতুন এক বির্তকের জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ওই নেতার পক্ষে সাফাই গাইলেও অনেক ওই কর্মীর আয়ের উৎস জানতে চেয়েছেন। কিন্তু বিতর্কের অবসান ঘটানার জন্য কর্মীর দেওয়া ১০ লাখ টাকার চেক ফেরত দিয়ে দেন কামরুজ্জামান কামরুল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালেহীন চৌধুরী শুভ লেখেন, ‘যিনি প্রকাশ্যে জনসভায় রাজনৈতিক নেতাকে ১০ লাখ টাকা দিতে পারেন, তার কত টাকা আছে ভাবা যায়! আয়কর দফতর কী করে?’
কামরুজ্জামান কামরুলকে চেক দেওয়া সেই নূর হোসেন বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশী কামরুল ইসলাম কামরুলকে মন থেকে আমার নেতা মনে করি। আমার উপার্জনের কষ্টের টাকা তার নির্বাচনে খরচ করার জন্য দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেই টাকা আমাকে ফেরত দিয়ে দেন। তিনি শুধু একটা কথা বলেছেন- সব সময় যেন তার সঙ্গে থেকে যেনো দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাই।
চেক ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সুনামগঞ্জ ১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুল ইসলাম কামরুল বলেন, তিন উপজেলার মানুষ আমাকে এতটা ভালোবাসে সেটা নির্বাচনী মনোনয়নপ্রত্যাশী না হলে বুঝতে পারতাম না। আমি আশাবাদী, দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল সাচনা বাজারে একটি সমাবেশে আমাকে টাকার ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়েছে। এক কর্মী আমাকে নির্বাচনী খরচের জন্য ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছে। আমি সত্যি অবাক। তবে সেই কর্মীর চেক আমি ফেরত দিয়েছি।