
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে উপজেলা বিএনপি’র জনসভা ও র্য্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শহরের ভূষণ হাইস্কুল মাঠে জনসভার আয়োজন করে কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ নেতা হামিদুল ইসলাম হামিদ।
হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, শেখ মুজিবর রহমান দেশের সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিল। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখেছিলেন গুননান করার জন্য। শেখ মুজিবর রহমানের বাকশালী অপশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বর দেশপ্রমিক সৈনিক ও সাধারণ মানুষের বিপ্লব দেশি বিদেশী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়। ঐতিহাসিক সেই মুহুর্তে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহন করেন। রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমান দেশে মুক্ত গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করেন। কিন্তু শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আবারো গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে শ্বাসরুদ্ধকর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। দির্ঘ ১৭ বছরে খুন গুম আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে। ৫ আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। জনসভা থেকে হামিদুল ইসলাম হামিদ দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার আহবান জানান। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাজার নেতাকর্মী ভূষণ হাইস্কুল মাঠে এসে সমবেত হয়। মুহুর্তের মধ্যে জনসভাস্থল জনসমুদ্রে পরিনত হয়।জনসভা শেষে বিশাল একটি র্যালী কালীগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করে সভাস্থলে এসে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম রবি, মাহাবুবুর রহমান মিলন, আব্দুল আলিম, বাবুল আক্তার, সোহরাব হোসেন, আমিন গাজি ও আশরাফুজ্জামান লাল প্রমুখ।