খবর বিজ্ঞপ্তি।।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ-কে নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে প্রচারিত সকল ধরনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগণ ভিন্ন ব্যানারে ভাইস-চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে প্রচারিত বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সকল মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। উক্ত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ, রেজিস্ট্রার, বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালকগণ, হল প্রভোস্টগণ সম্মানিত শিক্ষকগণ, দপ্তর ও শাখা প্রধাণগণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে এমই বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাফতি আনছারী ও ফাহিম আল গালিব, ইইই বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ মুজাহিদ এবং ইসিই বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, “কুয়েটের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ-কে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এসকল অসত্য, সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।” ছাত্ররা তাদের বক্তব্যে আরো তুলে ধরেন “প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষক। তিনি NASA Funded Aerospace Center-G Senior Research Fellow হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পেয়েও তিনি কুয়েটে ফিরে এসে দেশ প্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তার মত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষককে কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। যখন কুয়েট এগিয়ে যাওয়ার সময় এবং দেশ বিদেশে সু-খ্যাতি অর্জন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে ঠিক তথন দেশ বিরোধী সাবেক স্বৈর শাসকদের দোসররা দেশ ও কুয়েটকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ পাহারাদার হিসেবে কাজ করে যাব।”
এছাড়া সাধারণ শিক্ষকের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কুয়েটের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ-কে নিয়ে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে প্রচারিত সকল মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। মানববন্ধনের সময়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণের মধ্যে এমই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) জনাব রাজু আহাম্মদ, ড. এম.এ রশিদ হলের প্রোভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রোকেয়া হলের প্রোভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম এবং হিউম্যানিটিস এন্ড বিজনেস বিভাগের প্রফেসর ড. রাজিয়া সুলতানা বক্তব্য রাখেন। শিক্ষকগণ তাদের বক্তব্যে কুয়েটের বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর কে নিয়ে সকল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান। শিক্ষকগণ তাদের বক্তব্যে বলেন “একজন আদর্শ ও সৎ শিক্ষক এবং উচ্চ মানের এমন একজন গবেষককে নিয়ে এ ধরনের সংবাদ প্রচার জাতির জন্য লজ্জার। তার বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা তৎকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর ও সাবেক স্বৈরশাসকদের দোসর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের অংশ।” প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে তারা আরও বলেন “এখানে যে টেকনিক্যাল পেপারটির বিষয়ে নকলের অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ এর সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করেই একজন ছাত্র একটি জার্নালে প্রকাশ করার জন্য সাবমিট করে। অন্য একজন ছাত্র ঐ একই টেকনিক্যাল পেপারটি একটি আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে উপস্থাপন করে। এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ কোনো ভাবেই অবগত ছিলেন না। এ ছাড়া উক্ত দুইজন ছাত্রও এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট লিখিতভাবে জানায় যে, তারা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ এর সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই টেকনিক্যাল পেপারটি (জার্নাল এবং কনফারেন্সে পাবলিকেশন) প্রকাশ করেছে। তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার ২য় মেয়াদের শেষ সময়ে দ্রুত একটি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে অন্যায়ভাবে তড়িঘড়ি করে তাকে যে শাস্তি প্রদান করে সেখানে সিন্ডিকেটের ০৩ (তিন) জন সদস্য উক্ত সিদ্ধান্তে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর বিষয়টি অগ্রাহ্য করে একক ক্ষমতা দেখিয়ে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ-কে এমই অনুষদের পরবর্তী ডিন হিসেবে দায়িত্ব না নিতে পারেন এবং তাকে কলঙ্কিত করার হীন লক্ষ্যে এ ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ বিষয়গুলো আমরা সবাই জানি।” এছাড়া তারা আরও বলেন “ মিডিয়া হলো দেশের আয়না। তাই মিডিয়াগুলোর উচিৎ যে কোন সংবাদ পরিবেশনের আগে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে দায়িত্বশীলতার সাথে তা প্রকাশ করা।”
এছাড়া কর্মকর্তাগণের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব মোঃ তৈয়েবুর রহামন প্রকাশিত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।