
শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেন।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক (সহ–সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের রাহাতের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এর মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই নকলা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) এবং তার সহযোগী ফজলুর রহমান (৩২) কে আসামি করা হয়েছে। রাহাত পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোওলার ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন বলেন, ‘রাহাত ও ফজলু অফিসে এসে জানতে চান কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং ছাত্রদলের ভাগ কত। আমি বলি, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য, রাজনীতি করে ভাগ নেওয়ার সুযোগ নেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করার পর অফিসের ভেতরেই আমাকে মারধর করেন।’
এ বিষয়ে নকলা উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। আমি রাহাতের আত্মীয় এক যুবদল নেতাকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু সে কথা শোনেনি।’
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, ‘মামলার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’