কেন্দুয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি


মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া প্রকাশের সময় : জুলাই ১৪, ২০২৪, ৮:২৫ অপরাহ্ণ /
কেন্দুয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি
কেন্দুয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৯নং নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সারোয়ার জাহান কাউসারের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার উভয়পক্ষকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অভিযোগটির শুনানী করেন। শুনানী চলাকালে শ্রমিকরা অভিযোগের পক্ষে কোনো রকম তথ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি এবং তারা কাজ করেননি বলে স্বীকার করেন। তাই অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। এ সময় ইউএনও শ্রমিকদের ভবিষ্যতে চেয়ারম্যানের সাথে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে এরকম মিথ্যা অভিযোগ না করতে তাদের সতর্ক করেন।

এর আগে গত ১০ জুলাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের ১৯ জন শ্রমিক স্বাক্ষরিত অর্থ আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেন। এরইপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয়পক্ষকে ১৪ জুলাই বিকেল ৩টায় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণাদি নিয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুনানীতে উপস্থিত থাকতে নোটিশ করেন। 

অভিযোগকারী শ্রমিক সেলিম মিয়া বলেন, ইউএনও স্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। আমরা ঈদের আগে এবং পরে কোনো কাজ করিনি। তাই আমাদের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন সামনে কাজ এলে চেয়ারম্যানের সাথে মিলেমিশে আমাদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দিবেন। 

ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে একের পর এক নানারকম মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদেরকেও ওই কুচক্রি মহলটি প্ররোচনা দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে এরকম ২২টি অভিযোগ করিয়েছে তারা। কিন্তু তারা একটা অভিযোগও সত্য বলে প্রমাণ করতে পারেনি। আমার ইউনিয়নের মানুষ আমাকে ভালোবেসে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে তাদের সেবা করে যেতে যাই। 

এ বিষয়ে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগের কোনো রকম সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই তাদেরকে ভবিষ্যতে চেয়ারম্যানের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে বলা হয়েছে এবং এরকম মিথ্যা অভিযোগ না করতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

আ/বি