কোটচাঁদপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী ফাটালেন বোমা 

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

জাফিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি::

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গত ২৭ জানুয়ারি পুলিশ পরিচয়ে ৫–৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এক বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৫ হাজার ১০০ টাকা আদায়ের পর পালিয়ে যায়। এরপর গতকাল সোমবার তাঁরা  ওই বাড়িতে ঢুকে চাঁদা আনতে গিয়ে কাউকে  না পেয়ে ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন বলে অভিযোগ বাড়ির মালিক ওলিয়ার রহমানের।

গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে  উপজেলার তালিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে পারিবারিক ঝামেলা বা ভয় ভিতি দেখানোর জন্য  এটা করতে পারে বলছেন মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ। 

ভুক্তভোগী ওলিয়ার রহমান  বলেন, ‘গত ২৭ জানুয়ারি রাতে অজ্ঞাত ৫–৬ জন বাড়িতে প্রবেশ করেন। নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে আমার বড়ো ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু কে ডেকে ঘরের বাইরে এনে জিম্মি করে  ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর অনেক কথা–কাটাকাটির পর বাসায় থাকা ৫ হাজার ১০০ টাকা নিয়ে যান তাঁরা। সোমবার রাতে একইভাবে বাড়িতে প্রবেশ করেন তাঁরা। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। পাশে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিছিলাম।ওই সময় ছেলের বউ আর মেয়ে বাড়িতে ছিল। আমরা বাড়িতে না থাকায়  তাঁরা নিচে তালা দিয়ে ওপরের ঘরে ছিল। ওই সময় চাঁদাবাজরা বাড়িতে ডুকে গ্রিল ধাক্কাতে থাকে। সে সময় আমার পুতনি ফোনে জানাই বাড়িতে কারা ডুকে ডাকাডাকি করছে। ফোন পেয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।’

ওলিয়ার রহমান আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথমেই কোটচাঁদপুর মডেল  থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। ওসি সাহেব না থাকায় করা হয়নি। সন্ধ্যায় আমাদের আবার থানায় যেতে বলেছেন।’

ওলিয়ার রহমান ছিলেন গান্না সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক  শিক্ষক। বর্তমানে তিনি টিআইসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাজন হোসেন  বলেন, ‘ওই সময় আমরা পাশের একটা ওয়াজ মাহফিলে ডিউটি করছিলাম। স্থানীয় মানুষের মুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পটকা বিস্ফোরণের পর যা পড়ে থাকে, ওই ধরনের কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওগুলো বোমা বা ককটেল ছিল না।’

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ  মঈন উদ্দিন বলেন, ‘গেল ২৭ তারিখে তাঁদের কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৫ হাজার ১০০ টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তখন তাঁরা আমাদের জানাননি। এ ছাড়া পাশের পুলিশ ফাঁড়ির কাউকেও অবহিত করেননি। পুলিশ কে তো এলাকা সবাই চেনে।  সোমবার রাতে আবার ওই ঘটনা। এটা কোনো পারিবারিক ঝামেলার কারণে হতে পারে। বিষয়টি আমি জানার পর  এসপি স্যারকে জানিয়েছি। বাকিটা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি প্রকৃত ঘটনা কি। সন্ধার সময় উনাদের থানায় আসার কথা রয়েছে।

Share This Article