খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষি-বাণিজ্যিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী হয়েছে, যা দেশের খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রবিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি জানান, গত ১৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি অর্থনীতি ও ফার্ম লবির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দূরদর্শী নেতৃত্বে সফল হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল দায়িত্ব পালন করেছেন ড. খলিলুর রহমান, যিনি প্রথমে রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ড. খলিল মার্কিন কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছেন, যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ যেমন কৃষিপণ্যের বড় আমদানিকারক দেশ, তেমনি যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক। সয়াবিন, গম, তুলা ও ভুট্টার ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং নির্ভরতা কমাবে।’

প্রেস সচিব আরও জানান, এই সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি কৃষিপণ্য কিনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ড. খলিল ও তার টিমের দক্ষ নেতৃত্ব মার্কিন শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান কৃষি-বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। ভবিষ্যতে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও আরও অনুকূল শুল্কহার অর্জন সম্ভব হবে। একবার আমরা মার্কিন বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে, মার্কিন ফার্ম লবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের পক্ষে কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, জাপান, চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ও পশ্চিম ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জন্য একই পথে নতুন অধ্যায়ের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

Share This Article