স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গার সৈয়দ আলী হোসেন সড়কে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারে অস্ত্রের মুখে দোকানের কর্মচারীদের জিম্মি করে ৮ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে ৬ জন দুবৃত্ত পালিয়ে য়য়। পূর্ব শত্রুতা থাকায় দোকানের কর্মচারীরা সাগর ওরফে হাড্ডি সাগরকে চিনতে পারে।
দোকানের সিসিটভি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ২টায় দুটি মটর সাইকেলে হেলমেট পরিহিত ৬ জন দুবৃত্ত দোকানের সামনে এসে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে দোকান থেকে কর্মচারীদের বের করে দেয়। এসময় দোকানের থাইগ্লাস, কম্পিউটার, টেবিলে রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। ড্রয়ার থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
দোকানের ম্যানেজর আব্দুল কাদের বলেন, আজ বৃহস্পতিবার থাকায় সপ্তাহের কালেকশন সহ আজকে বোর্ড বিক্রির ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা জানান, চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর নগরীর সোনাডাঙ্গা মেইন রোড, হরিজন কলোনী এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শামিম পারভেজ এবং রানা নামে দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা।
এরপর রানার বাবা আবুল হোসেন খান বাদী হয়ে কিশোরগ্যাং থেকে সন্ত্রাসী সাগর ওরফে হাড্ডি সাগর সহ ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে রানার ভাই প্রতিষ্ঠিত বোর্ড ব্যবসায়ী মোঃ শহীদ খানকে হুমকি দিতে থাকে সাগর ও তার বাহিনীর কয়েকজন।
গত ১৮ অক্টোবর সাগর ও আরিফের নামে আবারও জিডি করে। এরপর ২২ অক্টোবর র্যাব ও ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করে শহীদ খান। তবে অভিযোগ দেয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে যায় হাড্ডি সাগর ও তার অনুসারীরা। চাদা দেইনি বলে অস্ত্র ঠেকিয়ে সব লুট করে নিয়ে গেলো বলে জানিয়েছেন শহীদ খান।
ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারের সত্বাধিকারী মোঃ শহীদ খান বলেন বেশ কিছুদিন ধরে হাড্ডি সাগর আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আমার দোকানে এসে আমার কাছে চাদা দাবি করেছে। আমি থানায় জিডি করেছি, আর্মির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু এখন অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কর্মচারীদের জিম্মি করে আমার ব্যবসার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এখন নিজের জীবন নিয়েও নিরাপত্তা ঝুকিতে।
এ সময় খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারের দোকান লুট হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। এর সাথে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসার সবরকম প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ সংবাদ প্রচারের আগ মুহূর্তে ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারের সত্বাধিকারী মোঃ শহীদ খান একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।