গণস্বাস্থ্যে ডা. জাফরুল্লাহর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন


আবু হুরাইরা প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ /
গণস্বাস্থ্যে ডা. জাফরুল্লাহর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন
গণস্বাস্থ্যে ডা. জাফরুল্লাহর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

গবি প্রতিনিধি:

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ গোলাম রহমান শাহজাহান এর সভাপতিত্বে সাভারস্থ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নাজিম উদ্দিন আহমেদ।

এসময় তিনি বলেন, “জাফর ভাই নিজের জন্য কিছু করেন নি, সব সময় ভেছেন মানুষের কথা, দেশের কথা। এজন্য তিনি সব কিছু গণস্বাস্থ্য এর জন্য দিয়ে গেছেন এই হাজার কোটি টাকার সম্পদের একটি টাকাও তাঁর জন্য নয়। তিনি থাকতে আমি এখানে সময় দিতাম না আমার ভরসা ছিলো জাফর ভাই। আমি জানতাম তিনি সব এগিয়ে নিয়ে যাবে কিন্তু এখন তিনি নেই। অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এটি ধ্বংস করার। চলুন সবাই এক সাথে রক্ষা করি গণস্বাস্থ্যকে, জাফর ভাই এর সপ্নকে।”

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আজকে যে বাংলাদেশের ওষুধ সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে তার পিছনে ড: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান রয়েছে। ১৯৮২ সালে স্বাস্থ্য খাত পুন:গঠনে তিনি ঔষধ নীতি প্রণয়নের সূচনায় অগ্রগতি রেখেছিলেন। এই যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা তার সূচনালগ্নেও তিনি রয়েছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী সমাজকে নিয়ে ভেবেছেন দেশকে নিয়ে ভেবেছেন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করেছেন। এখন যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে কাজ করে যেতে হবে যেন অদূর ভবিষ্যতেও তার কাজ এভাবে চলতে থাকে তাহলেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হবে।”

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতিচারন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ গোলাম রহমান শাহজাহান বলেন, ” শুধু দেশে নয়, দেশের বাহিরেও তিনি ছিলেন সমাদৃত। আমি ডেনমার্কের প্রেসিডেন্ট এমনকি ইতালিয়ান এম্বাসিতেও তার নাম শুনেছি। আমার চিকিৎসকতার শুরুতে অপারেশনের হাতেখড়ি তার হাতে। আমি কখনো তার পকেটে কোনো মানিব্যাগ দেখিনি, নিজের কোনো ব্যাংক এ্যাকাউন্টও ছিলোনা। অত্যন্ত সাদামাটা জীবন-জাপন করেছেন।

তিনি তাকে বাংলার সক্রেটিস বলে অবিহিত করে বলেন, “তার শিক্ষা দেওয়ার ধরন অন্যরকম ছিলো, তিনি ক্লাসে পড়ানোর চেয়ে কাজের মধ্যে বেশি শিখিয়ে দিতেন।”

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পরিষদ সদস্য মৌহতাসেন বিল্লাহ, বীর প্রতিক অধ্যাপক ডা. আল মাহমুদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ লাইলা পারভীন বানু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীগন।

উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে এবং ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাভারে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাকে সমাহিত করা হয়।