গভীর রাতে গৃহবধুর শরীরে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল (হাজিরমোড়) গ্রামের এক গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।সোমবার (৬ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এসিড নিক্ষেপের শিকার ওই গৃহবধূর নাম নাজমা আক্তার (২৫)। তিনি উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের হামিদুর রহমানের স্ত্রী।

সরেজমিনে জানা গেছে, আহত গৃহবধূ নাজমা আক্তার পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রায় ৬ মাস আগে একই গ্রামের সাদেকুল ইসলামের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছিলেন। ওই সময় নাজমার করা মামলায় সাদেকুল জেলে যায়। এরপর প্রায় ৩ মাস হলো সাদেকুল জামিনে বেরিয়ে এসে তার পরিবার পরিজন নিয়ে দিনযাপন করে আসছেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে সাদেকুল ওই মহিলার ভয়ে তার বাড়ির পাশ দিয়েও আর চলাফেরা করেন না। এছাড়াও গৃহবধূ নাজমার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। তার নানা অপকর্মের কারণে সেই স্বামীর কাছেও তার সংসার হয়নি। পরে প্রায় ৬-৭ বছর আগে হামিদুরের সাথে তার বিয়ে হয়। বর্তমান স্বামী হামিদুরের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এসিডে সাধারণত মুখ ঝলসে যায়, পুড়ে যায়। কিন্তু তার হাত সামান্য পুড়েছে। তার শরীরে এসিডে পোড়া তেমন কোন ক্ষতও নেই। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করা উচিৎ।

নাজমা আক্তার জানান, প্রায় ৪ মাস আগে সাদেকুল মিয়ার বিরুদ্ধে তার একটি নারী নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। ঘটনার দিন ভোর চার টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাইরে বের হলে কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। গৃহবধূর স্বামী হামিদুর রহমান জানান, তিনি কাজের জন্য গত বৃহস্পতিবার বগুড়া গিয়েছিলেন ঘটনা শোনার পর বাড়িতে এসেছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা।

অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম জানান, প্রতিবেশী নারী নাজমা আক্তার ভয়ংকর মামলাবাজ। ওই নারী তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটিয়েছে। তিনি প্রায় ৩ মাস পর জামিনে বেরিয়ে আসেন, এরপর থেকে তাদের ভয়ে সন্ধ্যা হলে আর বাড়ি থেকে বেরই হননা। এসিডের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা। অহেতুক তাকে দোষারোপ করে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি তার।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Share This Article