
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিপরীতে মিশরের দেয়া একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে মিশরের এই বিকল্প প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিশরের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে পাঠিয়ে গাজাকে নতুনভাবে সাজানোর প্রস্তাব দেন। তবে তার এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তবে হোয়াইট হাউস বলেছে যে, আরব দেশগুলো মিশরের যে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে তাতে গাজার বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়নি। এ কারণে ট্রাম্প তার দেয়া প্রস্তাবের সঙ্গে আছেন।
এদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, মিশরের দেয়া প্রস্তাবটি আরব দেশগুলোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস গ্রহণ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজায় সংঘাত বন্ধ করে শান্তি অর্জনে সম্মত হবেন বলেও জানান তিনি।
তবে গাজার ভবিষ্যত নিয়ে যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে তা হলো, গাজা কারা চালাবে এবং কোন কোন দেশগুলো গাজার পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় কোটি কোটি ডলার সরবরাহ করবে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার প্রশাসনের দায়িত্ব দেয়া স্বাধীন, পেশাদার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি প্রশাসনিক কমিটি তৈরির বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের সাথে সহযোগিতায় মিশর কাজ করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য মানবিক সহায়তা তদারক এবং উপত্যকাটির বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করবে এই কমিটি।
অন্যদিকে ‘মিশর পরিকল্পনাটি এখন আরব পরিকল্পনা।’ ঘন্টাব্যাপী সম্মেলন শেষে আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল ঘাইট এই ঘোষণা দেন।