গাজা ফ্লোটিলা থেকে আটক ২৩ মালয়েশিয়ান মুক্ত, দেশে ফিরছেন ৬ অক্টোবর

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান শনিবার ফেসবুকে ২৩ জন মালয়েশিয়ান কর্মীর ছবি প্রকাশ করেন, যারা গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী আন্তর্জাতিক ফ্লোটিলার অংশ ছিলেন।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান শনিবার ফেসবুকে ২৩ জন মালয়েশিয়ান কর্মীর ছবি প্রকাশ করেন, যারা গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী আন্তর্জাতিক ফ্লোটিলার অংশ ছিলেন।

গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ফ্লোটিলা থেকে আটক হওয়া ২৩ জন মালয়েশিয়ানকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে ইসরায়েল ছেড়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন এবং ৬ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

শনিবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত সকলেই সুস্থ আছেন এবং ইস্তাম্বুলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দৃঢ় নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি তুরস্ক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা এবং জর্ডান, মিশর, যুক্তরাষ্ট্র ও তেলআবিবে অবস্থিত আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনৈতিক সমর্থনের প্রতিও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান শনিবার রাতে ফেসবুকে আটক ২৩ জন মালয়েশিয়ান কর্মীর ছবি প্রকাশ করেন। একই দিন সুমুদ নুসান্তারা কমান্ড সেন্টারের মহাপরিচালক সানি আরাবি আব্দুল আলিম সাংবাদিকদের জানান, তুরস্ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় ও স্পন্সরে ওই কর্মীরা তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংহতি উদ্যোগ সুমুদ নুসান্তারা এ ফ্লোটিলা মিশনের অন্যতম আয়োজক। খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী ৪৪টি বেসামরিক জাহাজের বহরে প্রায় ৫০০ সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও কর্মী অংশ নেন। এদের মধ্যে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা। তবে বুধবার থেকে ইসরায়েলি সেনারা সমুদ্রে পুরো বহরটিকে আটকে দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের বন্দরে নিয়ে যায় এবং ৪০টিরও বেশি দেশের কর্মীদের আটক করে। মালয়েশিয়ানদের মধ্যে শিল্পী জিজি কিরানা ও হেলিজা হেলমিও ছিলেন।

সানি আরাবি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও মালয়েশিয়া সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগের কারণে দ্রুত এই মুক্তি সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমরা পরিবার, প্রতিনিধি ও সমর্থক সকলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তাঁর “ঘনিষ্ঠ বন্ধু” তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

যদিও ফ্লোটিলা গাজায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে, তবু মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ উদ্যোগ ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ সম্পর্কে বৈশ্বিক সচেতনতা বাড়াতে সফল হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এই অংশগ্রহণ প্রমাণ করে মালয়েশিয়ানরা ফিলিস্তিন ইস্যুতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং গণহত্যা, অনাহার, মানবিক বিপর্যয় ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার।”

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে যাতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সুরক্ষিত থাকে এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে বৈশ্বিক সংহতি আরও দৃঢ় হয়।



ভালো সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ ফিডটি অনুসরণ করুন


Google News

Share This Article