গাজা সহায়তা মিশনে আটক ২৩ মালয়েশীয় কর্মী আজ রাতে ফিরছেন

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

malaysia news
গ্লোবাল সামিট ফ্লোটিলা (GSF) মিশনে অংশ নেওয়া ২৩ জন মালয়েশীয় মানবাধিকার কর্মী আজ (মঙ্গলবার) রাতে দেশে ফিরছেন। স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তাঁদের বহনকারী ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১–এ অবতরণ করার কথা রয়েছে।

‘সুমুদ নুসান্তারা কমান্ড সেন্টার’-এর মহাপরিচালক দাতুক ড. সানি আরাবি আবদুল আলিম এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা আল্লাহর অশেষ কৃপায় তাঁদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে কৃতজ্ঞ। সুমুদ নুসান্তারা মালয়েশিয়ার এই বীরদের স্বাগত জানাতে আমরা সকল সমর্থক ও গণমাধ্যম বন্ধুদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরের “রেড জোন” এলাকায় জায়নিস্ট বাহিনী তাঁদের নৌযান আটক করে। পরবর্তীতে তাদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সময় আটক রাখার পর মুক্তি দেওয়া হয় এই ২৩ জন মালয়েশীয় নাগরিককে।

ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দর থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে তাঁরা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। মালয়েশীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তাঁরা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছে সেখান থেকে পরবর্তী ফ্লাইটে দেশে ফেরার পথে রওনা দেন।

আটক হওয়া কর্মীদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা হেলিজা হেলমি ও তাঁর বোন নূর হাজওয়ানি আফিকাহ, যারা Hio নামের জাহাজে ছিলেন। এছাড়া নূরফারাহিন রোমলি ও দানিশ নাজরান মুরাদ ছিলেন Grande Blu জাহাজে। গায়িকা জিজি কিরানা ছিলেন Huga নামের জাহাজে। আর মুসা নুয়াইরি, আইলিয়া বালকিস ও সুল আইদিল ছিলেন Alma জাহাজে।

হাইকাল আবদুল্লাহ, মুয়াজ যায়নাল, জুলফাধলি খিরুদ্দিন ও রুশদি রামলি ছিলেন Sirius জাহাজে; রজালি আওয়াং ছিলেন Inana জাহাজে।
ইনফ্লুয়েন্সার নূরুল হিদায়াহ মোহদ আমিন, যিনি আর্দেল আরিয়ানা নামে বেশি পরিচিত, ছিলেন Mikeno জাহাজে। ধর্মীয় বক্তা পিইউ রহমত, নোরহেলমি আব গনি, মোহদ আসমাউই মুখতার ও নোরাজমান ইশাক ছিলেন Estrella জাহাজে। জাইনাল রাশিদ ও উস্তাজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ছিলেন Fair Lady জাহাজে। আর মুহাম্মদ হারিজ আদজরামি (হারোকস নামে পরিচিত), মুহদ হাইকাল লুকমান জুলকেফলি ও তৌফিক মোহদ রাজিফ ছিলেন Free Willy জাহাজে।

গ্লোবাল সামিট ফ্লোটিলা মিশনের এই অভিযানটি ছিল গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে, যা বিভিন্ন দেশ থেকে আগত কর্মীদের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। মালয়েশীয় অংশগ্রহণকারীদের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনকে দেশটির জনগণ মানবিক সাফল্য ও সংহতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।

এই অভিযানে অংশগ্রহণ মালয়েশিয়ার নাগরিকদের আন্তর্জাতিক মানবিক ইস্যুতে সক্রিয় অবস্থানের প্রতিফলন। গাজায় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা কেবল মানবিক নয়, এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পরও তাদের মনোবল অটুট থাকা মালয়েশিয়ার তরুণ প্রজন্মের মানবিক চেতনা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে।

Share This Article