মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, গাজা চুক্তি লঙ্ঘন করলে হামাসকে ‘নির্মূল’ করা হবে। তবে, তিনি বলেন, তিনি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে যুদ্ধবিরতি পালনের সুযোগ দেবেন। ওয়াশিংটন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরাইলে গেছেন, সপ্তাহের শেষে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার পর দুই শীর্ষ মার্কিন দূতের সঙ্গে যোগ দেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি যে, তারা ভালো আচরণ করবে এবং পরিবর্তিত হবে। ‘আর যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা যাব এবং প্রয়োজনে তাদের নির্মূল করব। তাদের নির্মূল করা হবে, এবং তারা এটা জানে।’
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্প গাজা চুক্তিতে মধ্যস্থতা করতে সাহায্য করেছিলেন কিন্তু ইসরাইল হামাসকে মৃত জিম্মিদের হস্তান্তরে বাধা দেওয়ার এবং হামলা চালানোর অভিযোগ আনায় এটি বারবার হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হাইয়া মিশরের আল-কাহেরা নিউজকে বলেছেন, দলটি এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার সকালে সম্প্রচারিত মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন, তবে আমরা এই ব্যাপারে আন্তরিক এবং তাদের উদ্ধারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’
‘গাজা চুক্তি বহাল থাকবে, কারণ, আমরা এটি চাই এবং এটি মেনে চলার আমাদের ইচ্ছা দৃঢ়।’
ট্রাম্প গোষ্ঠীটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী এবং অভিযুক্ত সহযোগীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করার জন্যও সতর্ক করেছেন। কারণ, তারা বিধ্বস্ত ভূখণ্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
তবে, ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িত হবে না। তিনি বলেন, গাজার জন্য আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দিতে সম্মত হওয়া কয়েক ডজন দেশ অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহী।
ট্রাম্প বলেন, ‘এছাড়াও, আপনি যদি ইসরাইলকে প্রবেশ করতে বলেন, তাহলে তারা দুই মিনিটের মধ্যে প্রবেশ করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু এখন, আমরা তা বলছি না আমরা তাদের একটু সুযোগ দেব এবং আশা করি সহিংসতা কিছুটা কম হবে। কিন্তু এখন, আপনারা জানেন, তারা হিংস্র।’
‘তারা খুব উগ্র হয়ে উঠেছে এবং তারা এমন কিছু করেছে, যা তাদের করা উচিত নয়। যদি তারা এমন করতে থাকে, তাহলে আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করব এবং সেটি খুব দ্রুত ও বেশ সহিংসভাবে ঘটবে।’
ট্রাম্প বলেন, হামাস এখন অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক সমর্থক ইরানে এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি হামলার পর তাদের পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, ‘তাদের আর কারো সমর্থন নেই। তাদের ভালো হতে হবে এবং যদি তারা ভালো না হয়, তাহলে তাদের নির্মূল করা হবে।’
এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উপদেষ্টা জামাতা জ্যারেড কুশনার সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন।’