ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
রবিবার (২জুন) খুলনার ক্ষতিগ্রস্ত কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে ওষুধ সহ রেজিস্টার ডাক্তারদারা জনসাধারণকে ফ্রি চিকিৎসা প্রদাণ করা হয়। এছাড়া বাগেরহাটের মংলা, রামপাল, ভোলার চরফেশন ও বরগুনাতেও ১২টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় প্রায় ৪ হাজার পরিবারের মাঝে।
এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া গ্রামের সকল পরিবারের মাঝে ১৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও রুটি সহ ৩২৬ জন রোগীকে পরামর্শ সহ ফ্রি ওষুধ প্রদান করে গণস্বাস্থ্য।
এর আগে সকালে জরুরী অবস্থায় অসহায় পরিবারের কয়েকশত প্যাকেট শুকনো খাবার এবং পুষ্টিকর বাটার ও বাদাম সমৃদ্ধ ১০০০পিচ রুটি বিতরণের জন্য কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম এর নিকট বুঝিয়ে দেন তারা।
কয়রা উপজেলা মেডিকেল টিমের টিম লিডার মোঃ জুয়েল রানা নজরুল সাংবাদিকদের জানান, ‘গণস্বাস্থ্য সব সময় মানবতার পক্ষে অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করেছে। আজও তাদের পাশে আছে এবং আগামীতেও থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার পর থেকেই গণস্বাস্থ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ দূর্গম এলাকায়। স্থানীয় প্রশাসন ও মানুষের সহযোগিতা পেলে আমাদের কার্যক্রম আরও স্থায়ীভাবে এলাকার মানুষের জন্য অব্যাহত রাখা সম্ভব।’
এসময় মেডিকেল ক্যাম্প ও বেড়িবাধ এলাকা পরিদর্শন শেষে খুলনা-৬ আসনের মাননীয় সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, সরকারের পাশাপাশি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে নিজ উদ্যোগে এমন সেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তার জন্য খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ রইলো। এ জরুরী অবস্থায় যেখানে হাসপাতাল, মেডিকেল টিম খাদ্য সহায়তা সহজে পাঠানো কঠিন সেখানে তারা এমন কার্যক্রম চলমান রেখেছেন যা সত্যিই অতুলনীয়।
সরকারি ও স্থানীয়ভাবে সকল কার্যক্রমে গণস্বাস্থ্যকে সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম শফিকুল ইসলাম বাবু ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীগণ ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রিমেল আঘাত হানার পর থেকেই জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এপর্যন্ত দেশের উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের ৫টি জেলায় ১২টি ইউনিট টিমের মাধ্যমে পাঁচ সহস্রাধিক অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা ও ফ্রি ঔষধ সহ ২০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে তারা।