চট্টগ্রামে বাবলা খুনের ঘটনায় সাবেক ‘শিবির ক্যাডারকে’ দায়ী করেছে পরিবার

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরওয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার জন্য বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলী খানসহ তার অনুসারীদের দায়ী করছেন নিহতের স্বজনরা। এর আগে বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হামজারবাগ চাইল্যাতলী খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় এ ঘটনা ঘটে। মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্তের গুলিতে সরওয়ার নিহত হন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নিহতের বাবা আবদুল কাদের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসে বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে সাজ্জাদ বিদেশ থেকে ফোন করে সরওয়ারকে হুমকি দিয়েছে। বলেছে কী খেতে ইচ্ছে করে দ্রুত খেয়ে ফেলতে। সে নাকি আর বেশি দিন বাঁচবে না। হুমকির কয়েক দিনের মধ্যে আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলেছে। আমার মনে হয়, আমার ছেলের শরীরে অন্তত ২৮টি গুলি লেগেছে। সন্ত্রাসীরা একের পর এক গুলি করেছে। এ হত্যার নেপথ্যে ছোট সাজ্জাদসহ অন্যতম সহযোগী রায়হানের হাত রয়েছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে এসব তথ্য যাচাই করে দেখা হবে।’

এর আগে, ২৯ মার্চ মধ্যরাত পৌঁনে ৩টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডে সরওয়ারের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি করে একদল দুর্বৃত্ত। সেদিন গাড়িতে থাকা দুই জন নিহত হন। নিহতরা হলো- বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও আবদুল্লাহ (৩৬)। এ সময় সরওয়ারসহ আরও দুই জন আহত হন। তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর কোথায় ছিলেন তা অজানা ছিল পুলিশের। ওই দিন ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরাই সরওয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছোট সাজ্জাদ ও সরওয়ার হোসেন বাবলার গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এমনকি ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের জন্য তার দলের লোকজন সরওয়ারকে দায়ী করে আসছিলেন।

Share This Article