
চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ::
চাঁদপুর জেলার বৃহত্তর মতলব (উঃ) উপজেলার নন্দলালপুর বাজারের নাছির উদ্দীনের দই মানে ভিন্ন স্বাদের এক প্রতিচ্ছবি, তাই প্রতিদিন ছুটে আসছে মানুষ দূরদূরান্ত থেকে.
মুঠোফোনে নাছির উদ্দীনের সাথে কথা বলে জানা যায়- তিনি যাত নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে আর পড়া হয়নি। তাঁর বাবা প্রায় দুই যুগের বেশি সময় দই বিক্রির ব্যবসা করলেও অসুস্থতা ও আর্থিক সমস্যায় ওই কাজ ছেড়ে দেন। তাঁর ওপর বর্তায় সংসারের ভার। ২০০৪ সালে ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন দই তৈরি ও বিক্রির কাজ। প্রথম প্রথম ঠিকমতো বানাতে পারতেন না। বাবার কাছ থেকে শিখে ও পরামর্শ নিয়ে দই বানানোর কাজটি চালাতে থাকেন। এভাবে একসময় ভালো দই বানানো শিখে যান তিনি।
বগুড়ার দইয়ের ঐতিহ্য রয়েছে যেমন, তেমনি চাঁদপুর জেলার আশেপাশে উপজেলার মানুষের মুখে নাছির উদ্দীন এর দইয়ের স্বাদ ও গুওণগত মানের প্রশংসা রয়েছে।
নাসির উদ্দিন আরো জানান, গ্রাম থেকে গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে গ্যাসের চুলায় বাড়িতে ও দোকানে দই বানিয়ে বিক্রি করেন। স্বাদ ও সুঘ্রাণের কারণে ক্রমেই বাড়তে থাকে দইয়ের বেচাবিক্রি। তৈরি দই কাঁচের স্পেশাল গ্লাস ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণ করে বিক্রি করেন। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করেন। পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি করে। এই ব্যবসা করে সংসারের অভাব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাঁর ইচ্ছা আরও বড় পরিসরে ব্যবসা করার। পাশাপাশি সকলের দোয়া ও ভালোবাসা চায় তিনি।