
চিরিরবন্দরে চলতি মৌসুমে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । মাঠে মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। মাঠে বোরো ধানের শীষ দেখে কৃষকের মুখে ফুটছে হাসির ঝিলিক । সোনালী ধানের শীষ দেখে চোখের নজর কেড়েছে কৃষকের । কৃষকের কাংখিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশাতীত ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে , দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে সবুজ ও হলুদ রংয়ে। মাঠে ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। মাঠজুড়ে কৃষকের ফলানো সোনালী রং ধানের শীষ ।
বোরো ধান রোপনের পর থেকেই ফসলের মাঠে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময় মতো সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কারনে আবাদ হয়েছে বেশ ভালো। তাছাড়াও ফসলের মাঠে তেমন কোন রোগ বালাইও নেই। সব মিলিয়ে এবারের আবাদে সবাই পরিতৃপ্ত। এখন শুধু অপেক্ষা নিরাপদে ফসল ঘরে তোলার।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলার ১৯ হাজার ৫ শ’ ৬১ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। তবে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ১৯ হাজার ৬ শ’ ১৭ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন এবং প্রতি বিঘায় জমিতে অতন্ত ৪০ থেকে ৪৫ মণ ধান উৎপাদন হবে এমন আশা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। এ সময় কৃষক ও দিন মজুররা দলবদ্ধভাবে জমিতে ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদেরকে নানাভাবে সাহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ইতোমধ্যে আগাম ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে।
উপজেলার পুনটি ইউনিয়ন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক জন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর পাচঁ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। এমন সুন্দর ধানের ফলন দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। ভিয়াইল ইউনিয়নের কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। গত বারের তুলনায় আমি এবার আশানুরূপ ভালো ফলন পাবো । ভিয়াইল ইউনিয়নের একজন কৃষক বলেন,এবারে বোরো ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। রোগ বালাইও তেমন একটা নেই। বর্তমানে আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। এই অবস্থা বিদ্যমান থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে । তবে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্য পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা ।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা শারমিন এর সাথে কথা হলে । তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবাদও হয়েছে বেশ ভালো। তেমন কোন রোগ বালাইও নেই। আবহাওয়াও বর্তমানে অনুকূলে রয়েছে।
কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।