উত্তপ্তকারী প্রাইভেট শিক্ষককে ছাড়িয়ে দেওয়ায় পিতার উপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটছে।শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রামের হরি মন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ রঞ্জন দেব জ্যোতি গত বছরে চৌগাছি মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষর্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন।প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে শিক্ষার্থীর বই – খাতার মধ্যে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার চিঠি দিলে ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।এঘটনার পর মেয়েটির পরিবার ঐ শিক্ষকে পড়ানো থেকে অব্যবহিত দেয়।বিষয়টি বুঝতে পেরে ঐ শিক্ষক মেয়েটির পরিবারের কাছে ক্ষমা চায়। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলেও স্বীকারোক্তি দিলে মেয়েটির পরিবার পুনরায় মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়ানোর অনুমতি দেয়। এদিকে বিগত এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষক প্রভাষ রঞ্জন দেব জ্যোতি আবারও মেয়েটিকে চিঠির মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব জানায়। এসময় মেয়েটি ওই শিক্ষকের গালমন্দ করে।
এদিকে মেয়েটি এসএসসি পাশ করার পর স্থানীয় দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক হাল ছাড়েননি একেবারেই।কলেজে যাওয়া আসার পথে নানা ভাবে বিরক্ত করার পাশাপাশি তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।এঘটনার পর শুক্রবার চৌগাছি গ্রামের হরি মন্দিরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষকে দেখে বকাঝকা করেন মেয়েটির বাবা।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক প্রভাষ রঞ্জন দেবজ্যোতি মেয়েটির বাবার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন।স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার।
অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষ রঞ্জন দেব জ্যোতির সাথে এবিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে খোজ নিলে স্কুলের সহকারী শিক্ষক রোকশানা খানম জানান তিনি ছুটিতে আছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।