স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল শেখ হাসিনার পতনের পরে দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। অন্তত পাঁচ লক্ষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হবে! তাদের এই ধারণার কারণ ছিল তাদের অত্যাচার নির্যাতন লুটপাট খুন গুম আয়না ঘরের অসংখ্য নজিরবিহীন ঘটনা। তারা অনুমান করেছিল তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত একটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে! সৌভাগ্য বাস্তবে ৫ জন নেতা কর্মীকেও হত্যা করা হয়নি! বিরোধী দল এবং অত্যাচারিত জনগণ সংযমের পরিচয় দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৫নভেম্বর) বিকাল ৩টায় শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে খানজাহান আলী থানা বিএনপির অর্ন্তগত আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিজয়কে সংহত ও সমন্বিত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন কায়েমের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। সম্মেলন উদ্বোধন করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান। আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম জিয়া ও মাসুদ পারভেজ বাবু, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মুজিবুর রহমান, খান জাহান আলী থানা বিএনপির কমিটির সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ এমদাদুল হক। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন শেখ সাদী, আলমগীর হোসেন, আতাউর রহমান মোড়ল, জাহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, রফিকুল ইসলাম রফিক, মশিউর রহমান, মিনা মুরাদ হোসেন, ফকির রবিউল ইসলাম, মোল্লা সোহরাব হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আজমল হোসেন, শেখ মিজানুর রহমান, শওকত হোসেন হিট্টু, মামুন মেম্বার, শাহাবুদ্দিন বুদ্ধি, মোস্তফা জামাল, শহিদুল ইসলাম সোহেল, মোহাম্মদ হেলাল শরীফ, রেশমি সুলতানা, শাম্মি চৌধুরী মলি, বিল্লাল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান, মাসুম খান, মেহেদী হাসান বাপ্পি, আল মামুন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম,সহ গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে সমান ভোট পড়ায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহন, সাধারণ সম্পাদক পদে খোকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ আনোয়ার হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসা।